Advertisement
E-Paper

‘মূর্তি যুদ্ধে’ ফাঁকাই পড়ে স্তম্ভ

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, গত বছর ২৪ জুন বেলেঘাটা মেন রোডে কংগ্রেসের উদ্যোগে স্থাপিত হয় ‘শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ’। পরপর তিনটি স্তম্ভে বসানো হয় মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী, ইন্দিরা গাঁধী এবং রাজীব গাঁধীর মূর্তি।

নীলোৎপল বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:১৩
ফাঁকা পড়ে রয়েছে চতুর্থ শহিদ স্তম্ভ। বেলেঘাটায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

ফাঁকা পড়ে রয়েছে চতুর্থ শহিদ স্তম্ভ। বেলেঘাটায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

দাবিদার দুই। অথচ, জায়গা রয়েছে এক জনের। বেলেঘাটা মেন রোডে ফাঁকা থাকা ‘শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে’ শেষমেশ কার মূর্তি বসানো হবে তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আদতে প্রতিযোগিতা চলছে দুই বিশিষ্টের মধ্যে। ঠিক হয়েছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে স্থানীয়দের বিচারে যিনি জয়ী হবেন, তাঁরই মূর্তি বসানো হবে।

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, গত বছর ২৪ জুন বেলেঘাটা মেন রোডে কংগ্রেসের উদ্যোগে স্থাপিত হয় ‘শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ’। পরপর তিনটি স্তম্ভে বসানো হয় মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী, ইন্দিরা গাঁধী এবং রাজীব গাঁধীর মূর্তি। তবে সেই ‘শহিদ সরণি’তে ফাঁকা থেকে যায় আরও একটি স্তম্ভ। সেখানে কার মূর্তি বসানো হবে তা নিয়েই গোল বাঁধে। এক স্থানীয় কংগ্রেস নেতা জানালেন, প্রথমে ঠিক হয় ওই স্তম্ভে বসানো হবে নকশাল আন্দোলনে খুন হওয়া কংগ্রেস নেতা নারায়ণ করের মূর্তি। তবে বেঁকে বসেন অন্য নেতারা। তাঁদের দাবি, বসাতে হবে তপেশ বসুর মূর্তি। পূর্ব কলকাতা ছাত্র পরিষদের তৎকালীন সভাপতি তপেশও নকশাল আন্দোলনে খুন হন।

দু’পক্ষের দ্বন্দ্বেই ওই স্তম্ভটি উদ্বোধনের সময় ফাঁকা রয়ে যায়। উল্টে সমাধান হিসেবে স্তম্ভের নীচে মৃত্যু তারিখ-সহ লিখে দেওয়া হয় নারায়ণ এবং তপেশের নাম। মধ্য কলকাতার এক কংগ্রেস নেতা বললেন, ‘‘কে ‘বড় শহিদ’ তা ঠিক করার কথা ছিল এই এক বছরে। তবে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি।’’

যদিও এই শহিদ স্তম্ভ তৈরির অন্যতম উদ্যোক্তা বেলেঘাটা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অলোক ঘোষ জানালেন, নারায়ণ বা তপেশ কারও ছবিই শেষমেশ পাওয়া যায়নি। তাই মূর্তি বসানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘তিন গাঁধীর সঙ্গে এই দুই কংগ্রেস নেতাকে জায়গা দিতে চেয়েছি আমরা। তবে ছবি না পাওয়া গেলে আর কী করব? ওঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। তাঁরা ছবি দেননি।’’ যদিও ওই দুই কংগ্রেস নেতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেল, ছবি দিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারায়ণবাবুর এক আত্মীয় বললেন, ‘‘সব ছবি দিয়েছি। আগে ওঁরা স্থির করুক কার মূর্তি বসাবে।’’ অলোকবাবু অবশ্য এই দাবি মানতে চাননি।

Beliaghata Main Road Debate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy