ভাঙচুরের পরে। বৃহস্পতিবার নিউ টাউনের সেই অতিথিশালায়। নিজস্ব চিত্র
কর্মীদের মারধর করে, আলো নিভিয়ে লুঠ হল এক অতিথিশালায়। লুঠের সেই জিনিস ছোট একটি ট্রাকে বোঝাই করে নিয়েও গেল দুষ্কৃতীরা। বুধবার রাতে এমনই অভিযোগ উঠল নিউ টাউনে। আরও অভিযোগ, এমন তাণ্ডবের পরেও অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। পুলিশ অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অতিথিশালা কর্তৃপক্ষের দাবি, মেট্রো প্রকল্পের জন্য বাড়িটি ভাঙা পড়বে। তাই নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ওই অতিথিশালা কর্তৃপক্ষের কয়েক দফায় আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু তা শুরুর আগেই ঘটল তাণ্ডব। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা যাওয়ার আগে অতিথিশালা খালি করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে তাঁদের। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ই-মেলে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক, বিধাননগর পুরসভার কমিশনার এবং বিধাননগর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয় বলে দাবি অতিথিশালা কর্তৃপক্ষের। এ দিন অতিথিশালার তরফে বলরাম চৌধুরী অভিযোগ করেন, এত বড় ঘটনার পরেও পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পুলিশের অবশ্য পাল্টা দাবি, কালো কাপড় বেঁধে কিছু লোক অতিথিশালার সামনে ঘুরছে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু দুষ্কৃতী তাণ্ডবের কোনও খবর মেলেনি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।
কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ কাপড়ে মুখ ঢেকে এক দুষ্কৃতী প্রথমে চড়াও হয়ে সিসি ক্যামেরা ও আলো বন্ধ করে। এর পরেই আরও ৩০-৩৫ জন ঢুকে পড়ে। কর্মীদের মারধর করে বার করে দিয়ে চলে ভাঙচুর। অভিযোগ, টিভি, মাইক্রোওয়েভ, সিসি ক্যামেরা, কম্পিউটার ও টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
এই ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত। স্থানীয় ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ প্রসেনজিৎ সর্দার জানান, তিনিও এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy