নিজে দশ বছর কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু সিপিএম গয়েশপুর পুরসভা থেকে ক্ষমতাচ্যুত হতেই পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করেন মানিক মুখোপাধ্যায়।
২০১৭ সালে মানিক গয়েশপুর পুরসভায় করা সেই আবেদনে জানান, তিনি মৃত পশু নিয়ে ‘কাজ’ করেন। তাঁকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হোক। বেশ কয়েকটি লরিতে করে তিনি মৃত গবাদি পশু আনেন। সেই লরিও যাতে পুরসভা না আটক করে, সেই আবেদনও জানান মানিক। তবে গয়েশপুর পুর কর্তৃপক্ষ মানিকের সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
১৯৯৫ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত কাউন্সিলর ছিলেন মানিক। তখন একটি সমবায় সমিতিতে চাকরি করতেন তিনি। সেই সমিতি চর্মদ্রব্যের ব্যবসা করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মৃত পশু লরিতে করে চালান দিতেন তিনি। এলাকার বাসিন্দাদের তিনি বলতেন, চর্মদ্রব্যের ব্যবসার জন্যই তাঁকে মৃত পশু চালান দিতে হয়। সিপিএম পুরসভা থেকে সরতেই বাধার মুখে পড়তে থাকে মানিকের কারবার। মৃত পশু নিয়ে তাঁর কারবার ধাক্কা খেতে থাকে। তবে সেই পশুর মাংস যে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তরাঁয় পাচার করা হত, ঘুণাক্ষরেও তা জানতেন না এলাকার বাসিন্দারা।
গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মরণ দে জানান, ২০১৭ সালে ওই সমবায় সমিতির ছাপানো প্যাডেই পুরসভার কাছে একটি আবেদন করেন মানিক। তাতে বলা হয়েছিল, তাঁরা কল্যাণী, হরিণঘাটা-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নিজেদের লরিতে মৃত পশুদের নিয়ে আসেন। তার জন্য তাঁদের একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন।
সেই চিঠিতে মানিক পুরসভাকে ১০টি লরির নম্বর দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, পশুর মৃতদেহ বহন করার সময়ে সেগুলিকে যেন আটকানো না হয়। মরণ বলেন, ‘‘এই ‘কারবার’ নিয়ে প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। তাই মানিকবাবুর ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন নামঞ্জুর হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy