ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার। প্রতীকী চিত্র।
প্রায় এক মাস আগে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল ধর্ষণের অভিযোগ। এত দিন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তাঁর সন্দেহজনক আচরণই ধরিয়ে দিল যুবককে। বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার সায়েন্স সিটির কাছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বাসিন্দা রফিকুল মোল্লার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। তার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন রফিকুল। তাঁকে জালে পুরতে নিজেদের ‘সোর্স’কে ময়দানে নামিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। রফিকুল যেন বেমালুম ‘উবে’ গিয়েছিল কর্পূরের মতো। তবে পুলিশকর্মীরা হাল ছাড়েননি। বুধবার তারই ফল মিলল। আচমকা পুলিশ জানতে পারে, রফিকুল এলাকা ছাড়তে চাইছেন। তিনি হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার ছক কষছেন। তিনি সায়েন্স সিটি থেকে বাস ধরে পালাতে পারেন বলেও জানতে পারে পুলিশ। সেই তথ্য দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশকে।
বুধবার বাসন্তী হাইওয়ে হয়ে রফিকুল সায়েন্স সিটি আসেন বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা ৫০ নাগাদ পরমা আইল্যান্ড পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে বাস ধরে চম্পট দিতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি শৌভিক চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় অন্য যাত্রীদের থেকে বেশ ‘চঞ্চল’দেখাচ্ছিল রফিকুলকে। এক পুলিশ কর্মীর বক্তব্য, ‘‘ওঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, বাস ধরে এলাকা ছাড়তে পারলে যেন তিনি হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।’’ এই সময় ট্রাফিক গার্ডের ওসি এবং এক সার্জেন্ট তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করেন। তবে রফিকুল প্রথমে আসল নাম-পরিচয় লুকিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন বলেও সূত্রের খবর। তাতে পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে। পুলিশের কাছে রফিকুলের ছবি ছিল। তা দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন তাঁর পরিচয় সম্পর্কে।
রফিকুলকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক ভাবে প্রগতি ময়দান থানায় রাখা হয়। এর পর তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ভাঙড় থানার পুলিশের হাতে।
(গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনে আপত্তি প্রকাশ করেন কেউ কেউ। কিন্তু আইনের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হননি, এমন অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনেরই পক্ষপাতী আনন্দবাজার অনলাইন)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy