যাদবপুর এলাকায় বন্দুক দেখিয়ে নাকি লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ওই অভিযোগের তদন্তে এ বার অভিযোগকারীকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে, আদৌ কেউ বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখাননি অভিযোগকারীকে। তিনি নিজেই ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। তার পরে নিজেই গড়ফা থানায় গিয়ে লুটের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযোগকারীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি হাতিয়ে নেওয়া টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধৃত রতন সরকার গড়ফা থানা এলাকায় একটি লটারির দোকানে কাজ করতেন। গত রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ থানায় গিয়ে লুটের ‘গল্প’ শোনান অভিযুক্ত। পুলিশকে তিনি জানান, লটারির দোকান থেকে ব্যবসার ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তিনি দোকান মালিকের কাছে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। স্কুটারে চেপে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই রাত ১০টার কিছু পরে যাদবপুরের পালবাজারের (যাদবপুরের এই এলাকাটি গড়ফা থানার অন্তর্গত) কাছে তাঁর পথ আগলে দাঁড়ায় তিন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। তাঁকে স্কুটার থেকে নামিয়ে জোর করে রেললাইনের দিকে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বন্দুকও দেখানো হয়েছিল বলে পুলিশকে জানান রতন। এর পরে রেললাইনের ধারে একটি সুনসান জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর থেকে ওই টাকা লুট করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুন:
রতনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য রতনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে থাকেন তদন্তকারীরা। ওই লটারির দোকানের মালিক পঙ্কজ অগরওয়ালের সঙ্গেও যোগাযোগ করে পুলিশ। তাঁর থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে তদন্তে নেমে বেশ কিছু বিষয় সন্দেহজনক ঠেকছিল পুলিশের। সেই কারণে রতনকে আরও চেপে ধরেন তদন্তকারীরা। পুলিশি জেরার মুখে শেষ পর্যন্ত রতন স্বীকার করে নেন, তিনি নিজেই টাকা হাতিয়েছেন। পরে দোকান মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে রতনকে গ্রেফতার করেছে গড়ফা থানার পুলিশ। তাঁর হাতিয়ে নেওয়া ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।