বুধবার বিধাননগরের এক দফতরে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে বহু সিম। নিজস্ব চিত্র।
অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রতারণা-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার কলকাতার বিভিন্ন জায়গা তল্লাশি অভিযান চালাল পুলিশ। বুধবারও কলকাতা এবং বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। এক দিন পর পার্ক স্ট্রিট, নিউ মার্কেট, বেহালা, গিরিশ পার্ক, টালিগঞ্জে অভিযানে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। এই কাণ্ডে ইতিমধ্যে গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খান এবং আরও পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। পুলিশের ধারণা, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ জানতে পেরেছে, এই অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রতারণা-কাণ্ডের জাল বিদেশ পর্যন্ত ছড়িয়েছে। দুবাই থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চালানো হত প্রতারণার ব্যবসা। আমিরের পাশাপাশি এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে শুভজিৎ শ্রীমানির। তিনি থাকেন দুবাইতে।
বুধবার সল্টলেকের একটি দফতরে হানা দিয়ে সার্ভার এবং কম্পিউটারের হদিস মিলেছে। দফতরে কেউ ছিলেন না। কিন্তু সার্ভার, কম্পিউটারগুলি চলছিল। স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালানো হচ্ছিল সেগুলি। একটি সিম বক্সের খোঁজ মেলে, যেই যন্ত্রের মধ্যে ১,৯০০ সিম ছিল। এই সিমগুলি আমিরের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত। ওই সিমগুলির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ওটিপি দিয়ে চালু করা হত অ্যাকাউন্টগুলি বলে দাবি।
১০ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ওই বাড়িতে খাটের নীচে ছিল সে সব টাকা। তখন যদিও ফেরার ছিলেন আমির। গত শুক্রবার রাতে তাঁকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। আমিরকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠায় আদালত। তদন্তে নেমে বুধবার তাঁর আরও টাকার হদিস পায় কলকাতা পুলিশ। ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, বেআইনি টাকা বিদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ‘কনভার্ট’ করে রেখেছিলেন আমির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy