E-Paper

নির্দেশে স্বচ্ছতা আনতে কলকাতা পুলিশের সব থানায় নতুন ব্যবস্থা

লালবাজারের একাংশ জানিয়েছে, আগে বড় কোনও ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে কেস ডায়েরিতে ‘সাইড নোট’ দিতেন থানার বড়বাবু বা ওসি।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:২৩
কলকাতা পুলিশ।

কলকাতা পুলিশ।

কোনও ঘটনার তদন্ত চলাকালীন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার বিভিন্ন নির্দেশ দিয়ে থাকেন থানার ওসি-কে। সেই নির্দেশ লিখিত আকারে দেওয়ার জন্য লালবাজারের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানায় চালু হয়েছে ইনস্পেক্টর অর্ডার বুক (আইওবি)। এরই সঙ্গে লালবাজারের শীর্ষ অফিসার কিংবা ওসি-র নির্দেশ থানার সাধারণ পুলিশকর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চালু হয়েছে মিসেলেনিয়াস অর্ডার বুক। মাসখানেক আগে কয়েকটি থানায় চালু হয়েছিল এই ব্যবস্থা। চলতি সপ্তাহ থেকে কলকাতা পুলিশের বাকি থানাগুলিতেও মিসেলেনিয়াস অর্ডার বুক চালু করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। পুলিশকর্মীদের একাংশের দাবি, এর ফলে উচ্চপদস্থ অফিসারদের দেওয়া নির্দেশ যেমন লিখিত আকারে থাকছে, তেমনই স্বচ্ছতা এসেছে পুরো বিষয়টিতে।

লালবাজারের একাংশ জানিয়েছে, আগে বড় কোনও ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে কেস ডায়েরিতে ‘সাইড নোট’ দিতেন থানার বড়বাবু বা ওসি। এ ছাড়া, প্রশাসনিক-সহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা সময়ে মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেওয়া হত ওসিদের। নতুন ব্যবস্থায় সেই সব নির্দেশই লিখতে হচ্ছে ইনস্পেক্টর অর্ডার বুকে। সেই নির্দেশের একটি প্রতিলিপি চলে যাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারের কাছে। আর একটি প্রতিলিপি যাচ্ছে সহকারী নগরপালের কাছে। কলকাতা পুলিশের একটি থানার এক আধিকারিক জানান, এই ব্যবস্থা জেলা পুলিশে চালু থাকলেও কলকাতা পুলিশে ছিল না।

অন্য দিকে, মিসেলেনিয়াস অর্ডার বুকে থাকছে সিনিয়র অফিসারদের জারি করা নির্দেশ। পাশাপাশি, থাকছে থানা সংক্রান্ত বিভিন্ন আদেশও। যা ওসিদের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে থানার পুলিশ অফিসারদের কাছে। এর ফলে লালবাজার থেকে কী নির্দেশ এসেছে, সেটা সকলেই জানতে পারছেন।

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, আগে লিখিত নির্দেশ না থাকার কারণে কোনও বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সমস্যার সৃষ্টি হত। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানায় মৌখিক ওই নির্দেশ অমান্য করার একাধিক উদাহরণও রয়েছে। যার ফলে সমস্যা হত প্রশাসনিক দিকে। পুলিশের এই অংশটির দাবি, মিসেলেনিয়াস অর্ডার বুক ও ইনস্পেক্টর অর্ডার বুক সব থানায় চালু হয়ে যাওয়ায় কারও পক্ষে সংশ্লিষ্ট নির্দেশ না জানার অবকাশ থাকবে না। ফলে, নির্দেশ অমান্য করার প্রবণতাও বন্ধ হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lal Bazar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy