প্রতীকী ছবি।
কখনও ব্যাঙ্ককর্মী পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে এটিএমের পিন নম্বর জেনে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। আবার কখনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে প্রতারণা করা চলছে।
উপরের দু’টি ঘটনাই বিচ্ছিন্ন নয়। প্রতিদিনই এ ভাবে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন পড়ুয়া থেকে সাধারণ নাগরিক। সাইবার অপরাধ ঠেকাতে এবং তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পড়ুয়াদের সতর্ক করার কাজ চলছে। তারই একটি পদক্ষেপ হিসেবে শনিবার বৌবাজার থানার তরফে লরেটো স্কুলে গিয়ে সাইবার ক্রাইম নিয়ে পাঠ দেওয়া হল। সঙ্গে ছিলেন লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগের তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানায়, অনুষ্ঠানে মূলত সোশ্যাল সাইটগুলির বিভিন্ন নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়। সোশ্যাল নেটওর্য়াকে অপরিচিতদের বন্ধুত্বের আবেদনে সাড়া দিতে বারণ করা হয়। এক পুলিশ কর্তা জানান, অধিকাংশ ছাত্রীরই ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে প্রচুর বন্ধু রয়েছে। অথচ অনেকেই অপরিচিত। তাই সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য না দেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের অনুরোধ করেন তিনি। ওই কর্তার মতে, তথ্য হাতিয়ে প্রতারকেরা সহজেই প্রতারণা করতে পারে। ই-কমার্স সাইট ছাড়া অন্যত্র অনলাইনে কেনাকাটা না করতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের জানিয়েছে, আবেদন করা হয়েছে, ই মেল-সহ ফেসবুকে দু’দফায় সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে। যাতে অন্য কেউ অ্যাকাউন্টে ঢোকার চেষ্টা করলে গ্রাহক তা জানতে পারেন। একই সঙ্গে অপরিচিত কাউকে ফোনে ওটিপি না বলার আবেদন করা হয়। লটারির প্রলোভনে পা না দেওয়ার কথাও তাঁরা এ দিন বলেন। তাঁরা জানান, এ ক্ষেত্রে প্রতারকেরা একটি লিঙ্ক পাঠান মোবাইলে। তাতে ক্লিক করলেই মোবাইলের তথ্য চলে যায় প্রতারকদের মুঠোয়। এ দিন স্কুলের নবম এবং দশম শ্রেণির প্রায় ১০০ জন পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষিকারাও অংশ নিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy