—ফাইল চিত্র।
শহরে অপরাধ দমনে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেরবার দশা ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারদের (ডিসি)। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিসি ব্যস্ত থাকলে অনেক সময়ে থমকে যায় বাকি কাজও। তাই তাঁদের ভার খানিকটা লাঘব করে অবস্থা সামাল দিতে প্রতি ডিভিশনে এক জন করে অতিরিক্ত ডিসি চেয়ে নবান্নে প্রস্তাব পাঠাল লালবাজার। রাজ্য সরকারের তরফে ওই প্রস্তাব নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে দু’টি ডিভিশনে সাময়িক ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের দুই আধিকারিককে।
কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনের আইনশৃঙ্খলা কিংবা অপরাধদমনে মূল ভরসা সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় ডেপুটি কমিশনার, যাঁরা আইপিএস অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পান। তাঁদের দায়িত্বভার কিছুটা কমাতেই সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের শীর্ষ মহল থেকে প্রতি ডিভিশনে একজন করে অতিরিক্ত ডিসি মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এর জন্য সরকারি অনুমতির প্রয়োজন। পুলিশ সূত্রের খবর, নবান্নের কাছে এ প্রসঙ্গে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিভাগীয় ডিসিদের সাহায্য করতে বাহিনী থেকে পদোন্নতি পাওয়া আধিকারিকদেরই অতিরিক্ত ডিসি পদে নিযুক্ত করা হবে। অর্থাৎ কলকাতা পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে ডিসি হয়েছেন, এমন কাউকেই ওই দায়িত্ব দেওয়া হবে। পদোন্নতি পাওয়া এই আধিকারিকেরা পদযোগ্যতায় ডিসিদের থেকে কিছুটা নীচে হলেও তাঁরা একই ভাবে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে পরীক্ষামূলক ভাবে কলকাতা পুলিশের ষষ্ঠ ব্যাটেলিয়নের ডিসি সুদীপ্ত নাগ এবং ডিসি এসসিও (২) তেনজিং ভুটিয়া যথাক্রমে এসইডি এবং সাউথ ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিসি (ডিসি২) হিসেবে কাজ করছেন। ওই দু’জনেই বাহিনীর অভ্যন্তরীণ পদ থেকে পদন্নোতি পেয়ে ডিসি হয়েছেন।
লালবাজার জানিয়েছে, এর আগে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ডিসিদেরই ডিভিশনের অতিরিক্ত ডিসি হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশ কমিশনার। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। ফলে নবান্নে পাঠানো নতুন প্রস্তাবে পদোন্নতি পাওয়া অফিসারদেরই ওই দায়িত্বে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পুলিশকর্তাদের একাংশের মতে, এই প্রস্তাব নবান্নে গৃহীত হলে বাহিনীতে দ্রুত পদোন্নতি হওয়া আধিকারিকদের মনোবল বাড়বে। দীর্ঘদিন কাজের সুবাদে ওই সব আধিকারিকেরা কলকাতা পুলিশের এলাকা খুব ভাল করে চেনেন, যা বাহিনীর কাজে লাগতে পারে। এক পুলিশ কর্তা জানাচ্ছেন, কোনও এলাকায় গোলমাল হলে সংশ্লিষ্ট থানা ছাড়াও প্রয়োজনে ঘটনাস্থলে যায় অতিরিক্ত বাহিনীও, যার নেতৃত্বে থাকেন বিভাগীয় ডিসি। পুলিশের দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যস্ত বিভাগীয় ডিসির হাতের কাজ সামাল দিতে তাই অতিরিক্ত ডিসির প্রয়োজন রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy