প্রতীকী ছবি।
রাতের ফাঁকা রাস্তায় হু হু করে চলছে বেপরোয়া মোটরবাইক। চালক বা আরোহী— হেলমেট নেই কারও মাথায়। নেই ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার কোনও চেষ্টাও। রাতের শহরে হেলমেটহীন মোটরবাইক চালকদের বেপরোয়া দাপট নতুন নয়। এ বার বিষয়টি চাক্ষুষ করলেন কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনার জেরে বুধবার থেকে হেলমেটবিহীন বেপরোয়া মোটরবাইক চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সেই নির্দেশ বলবৎ করতে দিনে এবং রাতে শহরে বেপরোয়া মোটরবাইকের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে কোমর বেঁধে নেমেছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলি।
লালবাজার জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে ডিসি (ট্র্যাফিক) রূপেশ কুমার লালবাজারে পাঁচটি ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি এবং এসিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ঠিক হয়, সারাদিন ধরে চলা ওই অভিযান আরও কঠোর ভাবে করা হবে। যাতে বেপরোয়া বাইকের দাপট কমানো যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, বৈঠকের আগে সকাল থেকেই কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের প্রতিটি গার্ডের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সার্জেন্টরা বেপরোয়া মোটরবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে দিয়েছিলেন।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে মল্লিকবাজার, পার্ক সার্কাস, পার্ক স্ট্রিট, ধর্মতলা, এজেসি বসু রোড-সহ একাধিক এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজের উপরে নজর রাখেন লালবাজারের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের আধিকারিকেরা। কোথাও হেলমেটবিহীন মোটরবাইক চালককে দেখতে পেলে তাঁরা ফোন করে সতর্ক করে দেন সেই এলাকায় কর্তব্যরত অফিসারদের। পরে অফিসারেরা ওই চালকদের বিরুদ্ধে ববস্থা গ্রহণ করেন।
একটি ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিক জানান, হেলমেট হাতে ঝুলিয়ে মোটরবাইক চালানো নিষিদ্ধ, তবুও একশ্রেণির চালক এবং আরোহীদের মধ্যে সেই প্রবণতা দেখা যায়। এ ছাড়া বেশি গতিতে বাইক চালানো থেকে শুরু করে অন্য ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করলেও চালকদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে মল্লিকবাজার হয়ে লাউডন স্ট্রিটের বাড়িতে ফিরছিলেন কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। পার্ক স্ট্রিটে তাঁর গাড়ির সামনে দিয়েই মোটরবাইক নিয়ে দ্রুত গতিতে চলে যায় হেলমেটহীন কয়েক জন চালক। রাতেই ওই কর্তা বিষয়টি ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তাদের নজরে আনেন। বুধবার সকাল থেকে তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। বুধবার লালবাজারে বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠকের পরে ডেকে পাঠানো হয়েছে মঙ্গলবার রাতে ওই শীর্ষ কর্তার বাড়ি ফেরার রাস্তায় কর্তব্যরত তিন অফিসারকে।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, বেপরোয়া মোটরবাইক ধরার যে ব্যবস্থা বর্তমানে চালু আছে, তা-ই থাকছে। তবে তা আরও কড়া করার পাশাপাশি সারাদিনই শহরের সব জায়গায় অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy