E-Paper

গাজ়ার ত্রাণ-বহর আটকের প্রতিবাদে শহরে পথে বাম

সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক-সহ বিভিন্ন বাম দলের ডাকে রবীন্দ্র সদন থেকে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তি পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:০৬
গাজ়ায় ত্রাণ-বহরে বাধার প্রতিবাদে বামেদের মিছিল কলকাতায়।

গাজ়ায় ত্রাণ-বহরে বাধার প্রতিবাদে বামেদের মিছিল কলকাতায়। —নিজস্ব চিত্র।

পুজোর রেশ কাটার আগেই শনিবার, দ্বাদশীতে শহরে প্রতিবাদ মিছিল করল বিভিন্ন বাম দল। গাজ়ার জন্য ত্রাণবাহী নৌ-বহর ‘ফ্লোটিলা’কে ইজ়রায়েলের আটকে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং গাজ়ায় গণহত্যা বন্ধের দাবিকে সামনে রেখে পথে নেমেছিলেন বাম নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে আমেরিকা ও ইজ়রায়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশনীতি নিয়েও সরব হয়েছেন বাম নেতৃত্ব।

সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক-সহ বিভিন্ন বাম দলের ডাকে এ দিন রবীন্দ্র সদন থেকে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তি পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, আরএসপি-র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, কনীনিকা ঘোষ, লিবারেশন নেতা বাসুদেব বসু, অতনু চক্রবর্তী, সিপিআই নেতা প্রবীর দেব, গৌতম রায়-সহ অন্যেরা।

মিছিল থেকে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বলেছেন, “ফ্লোটিলাকে যে ভাবে আটকানো হয়েছে ও মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটা ভয়ঙ্কর। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ ঠিক ভূমিকা পালন করছে না। খাবার ও ওষুধ নিয়ে যাওয়া কোনও জাহাজকে আটকানো যায় না।” আমেরিকার ‘সাম্রাজ্যবাদী-নীতি’র তীব্র সমালোচনা করেছেন মনোজ, সুজন-সহ অন্যেরাও। এই সূত্র ধরেই প্যালেস্টাইনের সমর্থনে তাঁদের এই পথে নামার সঙ্গে ভিয়েতনাম-যুদ্ধের সময়ের উত্তাল কলকাতার তুলনাও টেনেছেন বাম নেতৃত্ব।

পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেছেন বাম নেতৃত্ব। বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিমান বলেছেন, “একদা বান্দুং সম্মেলনে ভারত বলেছিল, কোনও দেশ অন্য কোনও দেশের বিষয়ে নাক গলাতে পারবে না। কিন্তু এখন দক্ষিণপন্থী রাজনীতির কারণে ভারত সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। আসলে দক্ষিণপন্থী রাজনীতি মানুষের মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থন করে না।” বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার স্বাধীন বিদেশনীতিকে বিসর্জন দিয়ে আমেরিকা-ইজ়রায়েল আঁতাঁতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ইজ়রায়েলের হাতে আটক সব মানবাধিকার কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CPIM CPIML Israel-Hamas Conflict gaza

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy