Advertisement
E-Paper

ভবানীপুরে চাঞ্চল্য, নির্মাণ ব্যবসায়ী ভাইপোকে লক্ষ্য করে গুলি কাকার

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কাকা-ভাইপোর মধ্যে বিবাদের জেরেই ওই গুলি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ১৭:১০
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ভরদুপুরে হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে গিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। গিয়ে দেখেন, রাস্তার উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক যুবক। নির্মাণ ব্যবসায়ী কুণাল সাউ নামের ওই যুবককে এলাকার সকলেই চেনেন। আহত কুণাল তাঁদের জানান, তাঁর কাকা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় জখম কুণালকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বছর আঠাশের ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হননি। গুলি তাঁর গা ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। ভবানীপুর থানার গাঁজা পার্ক এলাকার এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই গুলি চলেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কাকা-ভাইপোর মধ্যে বিবাদের জেরেই ওই গুলি। শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের বাসিন্দা কুণাল ওরফে বিট্টুর কাছ থেকে পাওয়া বয়ান থেকে পুলিশ জানতে পারে মনোজ সাউ নামে ৪৫ বছরের এক ব্যক্তি গুলি চালিয়েছে। মনোজ সম্পর্কে কুণালের কাকা। দীর্ঘ দিন ধরে কাকা এবং ভাইপোর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে। এ দিন সেই বিবাদ চরম আকার নেয়। সেই বিবাদের জেরে এ দিন গাঁজা পার্কের কাছে কুণালকে লক্ষ্য করে দেশি পিস্তল থেকে গুলি চালায় মনোজ।

ঘটনার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত মনোজকে পাকড়াও করে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মনোজ ১৯৯৯ সালের একটি খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ভবানীপুর থানা এলাকাতেই এক ব্যক্তিকে সেই সময় গুলি করে খুন করেছিল সে। সেই মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয় মনোজের। সম্প্রতি হাইকোর্ট তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। কুণালের পরিবারের অভিযোগ, মনোজ দীর্ঘ দিন ধরে টাকা চাইছিল কুণালের কাছে। কিন্তু, সেই টাকা না দেওয়ায় এ দিন দুপুরে কুণালের ঘরে ঢুকে গুলি চালায় মনোজ।

আরও পড়ুন: স্কুলে শিক্ষক-সঙ্কট মেটেনি, ফের পথে অভিভাবকেরা

বেলেঘাটায় ছিঁড়ে পড়ল সরকারি অফিসের লিফট, গুরুতর জখম চার আধিকারিক

অন্য দিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মনোজ দাবি করেছে জেলে থাকাকালীন তারই মূলধন দিয়েই ব্যাবসা শুরু করে ভাইপো বিট্টু। কিন্তু জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তার পাওনা টাকা ফেরত দিচ্ছিল না সে। পুলিশ দু’পক্ষেরই বক্তব্য খতিয়ে দেখছে। একই সঙ্গে ঘরে ঢুকে গুলি করার পর কুণাল কী ভাবে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Crime Firing Kolkata Police Extortion কলকাতা পুলিশ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy