পুলিশ সেজে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক যুবকের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। যুবক কলকাতার এন্টালি এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেখানো হয়। কিন্তু না মিলেছে চাকরি, না ফেরত পাওয়া গিয়েছে টাকা। অসহায় যুবক তাই সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হন এবং বিচার চান। শিয়ালদহ আদালতে তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে এন্টালি থানার পুলিশ।
অভিযোগকারী যুবকের নাম শচীন কুমার সাউ। এন্টালির ছাতুবাবু লেনের বাসিন্দা তিনি। আদালতে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে দুই যুবক তাঁকে পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার জন্য তিন লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। অভিযোগ, ষড়যন্ত্র করে তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। দু’জনই নিজেদের পুলিশ অফিসার হিসাবে পরিচিত করেন। বলা হয়েছিল, তিন লক্ষ টাকা দিলেই সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি নিশ্চিত। চাকরি পাওয়ার আশায় শচীনও টাকা তুলে দেন অভিযুক্তদের হাতে।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, এর পর পুলিশে চাকরির নিয়োগপত্র দেখানো হয়েছিল শচীনকে। সরকারি সিলমোহরও ছিল সেই খামে। কিন্তু অচিরেই তিনি বুঝতে পারেন, নিয়োগপত্র এবং যাবতীয় নথি ভুয়ো। টাকা দিয়ে দেওয়ার পর অভিযুক্তদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি। ফেরত পাননি টাকা। চাকরিও হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন লক্ষ টাকার কিছুটা অনলাইন মাধ্যমে এবং কিছুটা নগদে দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তেরা হলেন চণ্ডীচরণ শিকারি এবং অমিত সর্দার।
শিয়ালদহ আদালতে সমস্যার কথা জানালে পুলিশ পদক্ষেপ করে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এন্টালি থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। টাকা উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।