প্রেমিকা কেন সর্বক্ষণ তাঁর সঙ্গে থাকেন না, এই নিয়ে রাগারাগি করতেন প্রায়ই। প্রেমিকার বক্তব্য ছিল, বাড়ি ছেড়ে এত দূর এসে তাঁর পক্ষে সব সময়ে থাকা সম্ভব নয়। তার চেয়ে বরং এখানকার ফ্ল্যাট বিক্রি করে তাঁর সঙ্গেই চলুক প্রেমিক।
এ নিয়ে বচসার জেরেই মঙ্গলবার দুপুরে গরফার শরৎ বসু কলোনির বাসিন্দা, প্রেমিক গোবর্ধন শেঠের হাতে খুন হন বেলেঘাটার বাসিন্দা সেই প্রেমিকা শান্তি সিংহ। ঘটনার এক দিন পরে পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, খুন করা হয়েছে দুপুর তিনটে নাগাদ। ঘটনাটি গোবর্ধন ঝোঁকের মাথায় ঘটান। তাই বছর পঁয়তাল্লিশের প্রেমিকাকে খুন করে ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে আত্মঘাতী হন বছর বাষট্টির প্রেমিক। বিকেল চারটে নাগাদ প্রেমিকার বোন মুন্নি সিংহকে ফোন করে শান্তিকে খুন করার কথা তিনিই জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, গোবর্ধন আগে বেসরকারি বাসের চালক ছিলেন। বছর দশেক আগে বাসেই তাঁর সঙ্গে শান্তির পরিচয়। বেলেঘাটার বাসিন্দা শান্তি পরিচারিকার কাজ করতেন। তাঁর মা এবং বোন রয়েছেন। গোবর্ধনের স্ত্রী এবং এক মেয়ে আলাদা থাকেন। প্রৌঢ়ের দুই দিদির এক জন বারাণসী এবং অন্য জন গরফায় থাকেন। তাঁদের কারও সঙ্গেই গোবর্ধনের যোগাযোগ ছিল না। আগে একটি দখলি জমিতে থাকতেন তিনি। সেখানে বাড়ি উঠবে বলে জায়গাটি ছাড়তে হয় তাঁকে। বদলে প্রোমোটার শরৎ বসু কলোনির একতলার ফ্ল্যাটটি দেন তাঁকে। কাজে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে সেখানেই প্রতিদিন যেতেন শান্তি।