শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে আবর্জনা অপসারণের আধুনিক মানের গাড়ি কেনা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলির মধ্যে কয়েকটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। তার জেরে জঞ্জাল অপসারণে সময় বেশি লাগছে। অভিযোগ, কিছু ওয়ার্ডে জঞ্জাল অপসারণের ভ্যানগুলিরও বেহাল দশা। বিধাননগর পুরসভার দাবি, গাড়ি মেরামতি জন্য যন্ত্রাংশ কিনতে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। নতুন যন্ত্রাংশ এসে গেলে দ্রুত জঞ্জাল সাফাইয়ের গাড়ি মেরামত করে চালু করা হবে। কেনা হবে নতুন ভ্যানও।
পুরসভা সূত্রের খবর, ৫০টি গাড়ির মধ্যে ১৫টি খারাপ হয়ে রয়েছে। ফলে ৩৫টি গাড়ি দিয়ে ৪১টি ওয়ার্ডের জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ চলছে। একটি গাড়িকে একাধিক জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে সময় লাগছে বলে দাবি পুরকর্তাদের।
বিধাননগর পুরসভা তৈরির পরে জঞ্জাল অপসারণের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হয়েছিল। কারণ ওই কাজে সল্টলেকের দিকে পরিকাঠামো থাকলেও রাজারহাট-গোপালপুর অংশে পরিকাঠামোর দশা ছিল বেহাল। এমনই দাবি ছিল পুরকর্তাদের। আগে লরি, ট্রাক কিংবা ম্যাটাডরের মাধ্যমে জঞ্জাল অপসারণের কাজ হত। পরে প্রতিষ্ঠিত সংস্থার গাড়ি নেওয়া হয়। রাস্তা পরিষ্কার, নিকাশি নালা সাফাইয়ের কাজেও আধুনিক গাড়ি কেনা হয়। বসানো হয় কম্প্যাক্টর। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে জঞ্জাল জমছে। তাঁদের মতে, গাড়ি খারাপ হলেও তা দ্রুত মেরামতির পরিকাঠামো থাকা উচিত।
পুর প্রশাসনের একাংশের পাল্টা দাবি, সেই পরিকাঠামোও রয়েছে। তবে গাড়িগুলির যন্ত্রাংশ খারাপ হলে টেন্ডার প্রক্রিয়া করেই কিনতে হয়। তাই কিছুটা সময় লাগে। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘কয়েকটি গাড়ি খারাপ হয়েছে। কিন্তু পরিষেবা বন্ধ হয়নি। গাড়ি মেরামতের প্রক্রিয়া চলছে। জঞ্জাল সংগ্রহের ভ্যানও কেনা হবে। দ্রুত সমস্যা মেটানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy