স্কুলে পঠনপাঠন ও প্রতিষেধক প্রদান, দুই-ই একসঙ্গে চলবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
আগামী সপ্তাহ থেকে শহরের সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলিতে হাম ও রুবেলার প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হতে চলেছে। ১৫ বছর বা তার কমবয়সি পড়ুয়াদের ৯ জানুয়ারি থেকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু করবে বেশির ভাগ স্কুল।
স্কুলে পঠনপাঠন ও প্রতিষেধক প্রদান, দুই-ই একসঙ্গে চলবে বলে জানানো হয়েছে। বেলতলা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁদের স্কুলের প্রাক্প্রা-থমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বারোশোর কিছু বেশি পড়ুয়া এই প্রতিষেধকের আওতাভুক্ত হচ্ছে। ৯ থেকে ১৬ জানুয়ারি সেখানে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার এবং মিত্র ইনস্টিটিউশন ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে জানান, আগামী ৯ এবং ১৬ জানুয়ারি থেকে যথাক্রমে তাঁদের স্কুলে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানান, চলতি মাসের শেষে পড়ুয়াদের এই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুলের প্রস্তুতি শেষ পর্বে।
অন্য দিকে, হাওড়াতেও ১৫ বছর পর্যন্ত বয়সিদের সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো সেখানেও ৯ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জনস্বাস্থ্য বিষয়ের চিকিৎসক অনির্বাণ দলুই জানাচ্ছেন, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে গায়ে র্যাশ বেরিয়ে যে সব রোগ হয়, তার অন্যতম হল মিজ়লস বা হাম এবং রুবেলা। এগুলি প্রাণঘাতীও বটে। অনির্বাণ বলেন, ‘‘এই প্রতিষেধক সম্পূর্ণ নিরাপদ। যে সব শিশু বা কিশোর এই প্রতিষেধক আগে নিয়েছে, তারা ফের তা নিতে পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy