বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসছেন ছাত্র প্রতিনিধিরা। সুমন বল্লভের তোলা ছবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে অচলাবস্থা কাটল না। সোমবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে ত্রি-পাক্ষিক বৈঠকই নিষ্ফলাই রইল। এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনটি ছাত্র সংসদের ছ’জন প্রতিনিধি। বৈঠকে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস বর্মা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে রাজ্যপালের প্রতিনিধি বিমল রায়। বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে বৈঠক শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক চলে বৈঠক। বৈঠক শেষে ছাত্র সংসদ ফেটসুর সাধারণ সম্পাদক স্বর্ণেন্দু বর্মন বলেন, আমরা নির্ঘণ্ট মেনে নির্বাচন করার দাবি থেকে সরছি না। আমরা আচার্য তথা রাজ্যপালকে আমাদের দাবি জানিয়েছি। রাজ্যপাল বলেছেন, “তিনি এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নেবেন। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে জানিয়ে দেবেন।”
গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় যাদবপুরে অচলাবস্থা। ছাত্র আন্দোলনের জেরে শুক্রবার থেকে বাড়ি যেতে পারেননি উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। পড়ুয়ারা ঘেরাও করে রাখেন তাঁদের। রবিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও সরেননি তিনি। রাতে আচার্য এবং উপাচার্যের বেশ কয়েক বার ফোনে কথা হয়। আচার্য সুরঞ্জনবাবুকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আন্দোলনরত পড়ুয়াদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন ঠিকই। তবে ঘেরাও না-তোলা পর্যন্ত কখন দেখা করবেন, সেই সময়টা জানাবেন না। পড়ুয়াদের কাছে গিয়ে উপাচার্য সে-কথা জানিয়েও দেন। আচার্যের কঠোর বার্তা পেয়েই পিছু হঠেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। রবিবার রাতে তুলে নেওয়া হয় ৫৪ ঘণ্টার ঘেরাও।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
• আচার্য কঠোর হতেই ঘেরাও শেষ যাদবপুরে
• পড়ুয়াদের জেদে ঘেরাও বহাল যাদবপুরে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy