সেই মার্সিডিজ। — নিজস্ব চিত্র
দুর্ঘটনার চার দিন পর গ্রেফতার হলেন ঘাতক মার্সেডিজ গাড়িটির চালক। বরুন মাহেশ্বরী নামে ওই যুবককে বুধবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারির পর গাড়ি চলানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বরুন। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী প্রথমে জানা গিয়েছিল, গাড়িটি এক তরুণী চালাচ্ছিলেন। আর গাড়ির পিছনের সিটে আর এক তরুণী সহ দু’জন বসেছিলেন। কিন্তু গাড়ি তিনি চালাচ্ছিলেন বলে মেনে নিয়েছেন বরুন। তবে তাঁকে কোন সূত্র ধরে কোথা থেকে গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে এখনই কিছু জানানো হয়নি।
গত শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ হাজরা রোড দিয়ে যাওয়ার সময়ে মার্সিডিজটির ধাক্কায় একটি স্কুটির চালক-সহ তিন জন ছিটকে পড়েন। পরে তাঁদের মধ্যে অভিজিৎ পাণ্ডে (২৪) নামে এক যুবক মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে গাড়িটি ফেলে চম্পট দেন চালক ও আরোহীরা। গাড়িতে তিনজন ছিলেন বলে জানা যায়। ওই গাড়ির ভিতরে পণ্ডিতিয়ার ওই আবাসনের নাম লেখা একটি কাগজ পেয়ে পরদিন শ’দেড়েক যুবক ওই আবাসনে ঢুকে হামলা শুরু করেন। ভাঙচুর করা হয় আবাসনের ৭৪টি গাড়িতে।
কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কোনও সিসিটিভি না থাকায় তদন্তেও অসুবিধায় পড়তে হয় পুলিশকে। তদন্তকারী এক অফিসার জানিয়েছিলেন, মোবাইলের সূত্রে অভিযুক্তের খোঁজ চালানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তের মোবাইল বন্ধ বলে জানায় পুলিশ।
পরে গাড়িটির নথি নিয়ে খোঁজ-খবর করতে গিয়ে পুলিশ জেনেছে, ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি গাড়িটির রেজিষ্ট্রেশন হয়েছিল। পুলিশের দাবি, গাড়িটি কেনা হয়েছিল নোনাপুকুরের এক বেসরকারি সংস্থার নামে। ওই মার্সিডিজটির বিরুদ্ধে নাকি ইতিমধ্যেই প্রায় ১১টি মামলা বকেয়া রয়েছে। যার বেশির ভাগই আইন না মেনে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy