Advertisement
১০ মে ২০২৪
Kolkata

পুরসভা তালিকা পাঠালেও ভর্তিতে সমস্যা বহু রোগীর

এ শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মেহবুব কাদের চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২১ ০৬:৪৬
Share: Save:

কলকাতা শহরে বাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের মৃত্যু-হার কমছে না কোনও ভাবেই। কলকাতা পুরসভা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ শহরে প্রতিদিন গড়ে ১৪-১৫ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হচ্ছে বাড়িতে। এর মধ্যেই আবার অভিযোগ উঠেছে, পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর থেকে স্বাস্থ্য ভবনে রোগী ভর্তির সুপারিশ পাঠানো হলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুর ভবনে পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হয়। ঠিক হয়েছে, পুরসভা থেকে পাঠানো তালিকায় যে সব রোগীর নাম থাকছে, তাঁদের ভর্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে কথা বলবেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ তাঁকে এই নির্দেশ দেন।

এ শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডের পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। সেই পরীক্ষায় যাঁদের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসছে, শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেডিক্যাল অফিসার বা স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির আবেদন জানাতে পারেন। ওয়ার্ড থেকে সেই তথ্য বরোর এগজিকিউটিভ হেলথ অফিসারের কাছে যায়। তিনি আবার পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে সেই তথ্য পাঠিয়ে দেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ‘কেএমসি অ্যাডমিশন গ্রুপ’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে রোগীর নামধাম এবং করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনের অ্যাডমিশন সেলে পাঠান। কিন্তু অভিযোগ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ওই তথ্য পাঠানোর পরেও রোগীরা ভর্তি হতে পারছেন না।

কলকাতার ১০ নম্বর বরো বর্তমানে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে। বৃহস্পতিবার কেবল ওই বরোতেই ৪৫০ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তার পরেই রয়েছে ১২ নম্বর বরো। ওই বরোর এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘ভর্তির জন্য ১০০ জনের নাম পাঠালে ভর্তি হতে পারছেন মাত্র পাঁচ-ছ’জন।’’ শহরের অন্যান্য বরোর এগজিকিউটিভ হেলথ অফিসারেরাও একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘রোগীদের বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ রোগীই ভর্তি হতে পারছেন না। বিষয়টি একাধিক বার স্বাস্থ্য ভবনকে জানিয়েছি।’’

উল্লেখ্য, সরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের ভর্তির বিষয়টি দেখে স্বাস্থ্য ভবনের অ্যাডমিশন সেল। স্বাস্থ্য ভবন রোগীর তথ্য খতিয়ে দেখার পরে তাঁকে ভর্তি করা উচিত বলে মনে করলে তবেই অ্যাম্বুল্যান্স

...

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE