এত দিন মান্ধাতার আমলের একটা পাম্পই ছিল গোটা এলাকার ভরসা। দীর্ঘ দিন রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় পলি জমে গিয়েছিল পাইপ লাইনে। কার্যত সারা বছরই জল পেতেন না বরাহনগর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি এলাকার বাসিন্দারা।
গরমের শুরুতেই ছবিটা বদলাতে চলেছে। নতুন পাইপ লাইন পাতা হয়েছে। মাটির তলা থেকে বেশি পরিমাণ জল তুলতে নতুন করে বোরিং করা হচ্ছে। স্থানীয় কাউন্সিলর দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জনসংখ্যা বেড়েছে। তাই পুরনো পাম্প দিয়ে পর্যাপ্ত জল তোলা সম্ভব হচ্ছিল না। বাসিন্দাদের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত।’’
বরাহনগর পুরসভা সূত্রের খবর, ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন সেন নগর, নারায়ণ পল্লি, সুকান্ত পার্ক এলাকার জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি। প্রয়োজনীয় জল নিরঞ্জন সেন নগরের পুরনো পাম্প দিয়ে তোলা সম্ভব হচ্ছিল না। নতুন করে বোরিং করে প্রায় ৫০০ মিটার নীচ থেকে জল তুলে তা সরবরাহ করা হবে।
আগে প্রতি দিন সকাল সাড়ে ৯টা এবং বিকেল ৩টা নাগাদ এলাকার টিউবওয়েল থেকে জল পেতেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকালে অল্প সময়ের জন্য মিষ্টি জল পাওয়া গেলেও তার পর নোনতা জলই আসত। বাসিন্দা সেন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘পানীয় জলও এখানে ঠিক মতো পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে কিনে খেতে হতো।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলের অবস্থা এতই খারাপ যে পাম্প চালালেও জল বেরোয় না।
পুরসভা সূত্রের খবর, বরাহনগরের অন্যান্য জায়গার মতো বিটি রোড ডানলপ ঘেঁষা এই এলাকাতেও যাতে মিষ্টি জল সরবারহ করা যায় তার জন্য বরাহনগর-কামারহাটি জয়েন্ট ওয়াটার ওয়ার্কস এর পাইপলাইন আনিয়ে এক নম্বর ওয়ার্ডের জলের লাইনের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে। দীপঙ্করবাবু জানান, বোরিং করে নতুন পাইপ পাতার পরেই আবার পাম্প চালু করা যাবে। তখন দিনে কয়েকবার জল দেওয়া যাবে। পুরসভার জল বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আগের বোরিং কম ছিল। তাই জল উঠতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে আশা করি এ বার আর সমস্যা হবে না।’’