—প্রতীকী ছবি।
বাগুইআটিতে গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু। গত ২৮ নভেম্বর অস্বাভিক মৃত্যু হয় অর্চনা সরকারের। তার পর থেকেই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠছিল স্বামী সুরজিৎ সরকারের বিরুদ্ধে। অবশেষে ঘটনার ছ’দিন পর সুরজিৎকে গ্রেফতার করল বাগুইআটি থানার পুলিশ।
সেই সময় আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী সুরজিৎ সরকার। পুলিশকে জানিয়ে ছিলেন, অর্চনা আত্মহত্যা করেন। কিন্তু প্রথম থেকেই এই ঘটনাকে আত্মহত্যার বলে মানতে চাননি মৃতের পরিবার। অবশেষে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় সুরজিতের বিরুদ্ধে।
রবিবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ২০০৬ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। তার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে ঝামেলা গেলেই থাকত। সন্তান না হওয়া নিয়েও অর্চনাকে অনেক কথা শুনে হয়েছিল। শারীরিক এবং মানসিকভাবে তাঁকে অত্যাচার করা হয় বলে জানিয়েছেন মৃতের পরিবার।
যদিও অভিযুক্ত দাবি করেছেন, তিনি ঘটনার সময় অফিসে ছিলেন। এর পর বাড়িতে এসে দরজা ধাক্কাও দেন। তার পর তিনি দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে অর্চনা। কিন্তু তার বক্তব্য বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। বেশ কিছু প্রশ্নও রয়েছে। সে দিকটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই নিউটাউনে আইনজীবী রজত দে-রও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। স্ত্রী অনিন্দিতাও বারবার বয়ান বদল করে আত্মহত্যা করেছেন রজত। এর পরই অনিন্দিতাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy