আকাশে চক্কর কাটছে হেলিকপ্টার। নীচে ব্রিগেডমুখী হসপিটাল রোডে তখন বিজেপির কর্মীদের ভিড়। সেখান থেকেই হাত তুলে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রীকে। সেই ভিড় থেকেই শোনা গেল, ‘মোদী দাদা হেলিকপ্টার। মাত্র তিরিশ টাকা!’
‘ব্যাপারটা কী?’— অবাক হয়ে অনেকেই ভিড়-ছুট হয়ে সরে গেলেন রাস্তার ধারের ফুটপাতের দিকে। দেখলেন, ব্যাগ ভর্তি হেলিকপ্টার নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি। যিনি মাঝেমধ্যেই হাত ঘুরিয়ে উপরে ছুড়ে দিচ্ছেন, প্লাস্টিকের হেলিকপ্টার। সোঁ করে আওয়াজ তুলে কিছুটা উপরে উঠেই নীচে নেমে আসছে সেই কপ্টার।
বারাণসীর বাসিন্দা দেবীপ্রসাদ বর্মা, চার বছর ধরে কলকাতার রাস্তাতেই খেলনা বিক্রি করেন। বললেন, ‘‘হেলিকপ্টারে আসছেন মোদী। ভাল বিক্রি হবে বলে ওই খেলনাই নিয়ে এসেছি। আধ ঘণ্টায় একশোটার মতো বিক্রি হয়েছে।’’ তবে গাঢ় সবুজ, খয়েরি, নীল ও বেগুনি রঙের ‘মোদী দাদা হেলিকপ্টার’-এর দাম বদলে গিয়েছে ব্রিগেডের মাঠের কাছাকাছি গিয়ে। সেখানে বারাণসীর অন্য এক বাসিন্দা রামকমল দাম হাঁকছেন, ৫০ টাকা! দাম যাই হোক না কেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী যখন হেলিকপ্টারে শহরে আসছেন, তখন প্রতীকী হিসেবে খেলনা কপ্টার তো বাড়ির খুদের জন্য কিনে নিয়ে যেতেই হবে’’—বললেন ঝড়খালির গোপাল মণ্ডল। তাঁর মতোই বাঁকুড়ার প্রমিলা টুডুও গাঢ় সবুজ রঙের হেলিকপ্টারই পছন্দ করলেন।