নিউটাউনের জলে ডোবা রাস্তায় জাল ফেললেই উঠছে মাছ।
মৎস্য মারিব খাইব সুখে!
নিউটাউনের রাস্তায় জমা জলে ভাই-বোন মিলে হাত ডুবিয়ে ধরলেন কাতলা মাছ! তার পর বাড়িতে ফোন করলেন জাল আনার জন্য। পরিবারের সবাই মিলে সারা রাত ধরে প্রায় ১৫ কেজি মাছ ধরলেন। ভিডিয়ো তুললেন। নেটমাধ্যমে পিউ মণ্ডলের যে ভিডিয়ো মুহূর্তেই জনপ্রিয়।
আনন্দবাজার অনলাইনকে পিউ বলেন, ‘‘ওই ভিডিয়ো তোলা হয়েছে কারিগরি ভবনের সামনে। মঙ্গলবার রাতে ভাইয়ের সঙ্গে খাবার কিনতে যাচ্ছিলাম। বাইকের আলো রাস্তার জলে পড়তেই চিকচিক করতে দেখি। ঠাহর করে বুঝতে পারি প্রচুর মাছ ওই জলে। বাইক থেকে নেমে ভাইবোন মিলে হাত দিয়ে বেশ কিছু মাছ ধরি। তখনই বাড়িতে ফোন করে জাল আনার কথা বলি। সারা রাত ধরে প্রায় ১৫ কেজি মাছ ধরা হয়।’’
অবিরাম বৃষ্টিতে ভাসছে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ। কোথাও রাস্তার উপর জল বইছে, আবার কোথাও জল ঢুকেছে ঘরে। সব মিলিয়ে আশ্বিনের বৃষ্টিতে প্লাবিত মহানগরীর বিস্তীর্ণ অংশ। কিন্তু এত সমস্যার মধ্যে বৃষ্টির জমা জল আনন্দের খোরাকও দিচ্ছে। যেমন নিউটাউনের জলে ডোবা রাস্তায় জাল ফেললেই উঠছে মাছ। নেটমাধ্যমে পিউয়ের সেই ভিডিয়ো দেখে চোখ কপালে বাঙালির।
সাত সকালে মাছ বাজারে হত্যে দেওয়া থেকে নদীর ঘাটে গিয়ে কানকো টিপে দরদাম করে ছটফটে মাছ বাড়িতে আনা, তাজা মাছের খোঁজে বাঙালি কি না করে! এখন সে সব অতীত। বাড়ির সামনের জলে ডোবা রাস্তায় জাল ফেললেই উঠে আসছে গাদা গাদা তাজা মাছ। ছোট থেকে বড়, সবাই ব্যস্ত রাস্তায় মাছ ধরতে। তবে এ জন্য আপনাকে আসতে হবে নিউটাউন এলাকায়।
নেটমাধ্যমে পিউয়ের ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, জাল ফেললেই উপচে পড়ছে ছোট-বড় খলবলে তরতাজা মাছ। তাঁদের দেখাদেখি অনেকেই এর পর জড়ো হন মাছ ধরতে। পিউ বলছেন, ‘‘এ ভাবে মাছ ধরতে পেরে খুব আনন্দ পেয়েছি। পর দিন সকালে গোটা পাড়ায় সেই মাছ বিলি করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy