Advertisement
E-Paper

বন্দরের রাস্তা সংস্কারে ভরসা তাপ্পিই

ফলে ওই সব রাস্তাগুলিতে দিনভর গাড়ির চাপ লেগেই থাকে। যার জেরে রাস্তার মাঝখানে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত।

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৫১

মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙার পর থেকে অধিকাংশ গাড়ি এবং বাসকে রিমাউন্ট রোড, হবোকেন রোড, ওল্ড গোরাগাছা রোড, হাইড রোড, তারাতলা রোড ধরে বেহালা বা দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পৌঁছতে হচ্ছে।

ফলে ওই সব রাস্তাগুলিতে দিনভর গাড়ির চাপ লেগেই থাকে। যার জেরে রাস্তার মাঝখানে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। বৃষ্টিতে সেখানে জল জমে রাস্তাগুলির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা ওই সব বেহাল রাস্তা গাড়ি চলাচলের পক্ষে দুর্গম হয়ে পড়েছে। তবে সব থেকে খারাপ অবস্থা হাইড রোডের। অথচ রাস্তাগুলির সংস্কার নিয়ে এত দিন প্রশাসন কোনও হেলদোল দেখায়নি বলে অভিযোগ করছেন নিত্যযাত্রীরা।

ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে রিমাউন্ট রোড, হবোকেন রোড, ওল্ড গোরাগাছা রোড হয়ে তারাতলা রোডের দূরত্ব মেরেকেটে দু’কিলোমিটার। যাত্রীদের অভিযোগ, ওই দূরত্ব পেরোতেই লাগছে এক ঘণ্টা। বেহাল রাস্তার জন্য গত এক মাসে পরপর দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোথাও গর্তে পড়ে মোটরবাইক উল্টে গিয়েছে। কোথাও আবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙার পর থেকে রিমাউন্ড রোড, হবোকেন রোড, ওল্ড গোরাগাছা রোড, তারাতলা রোডে গাড়ির চাপ অনেকটাই বেড়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তায় দীর্ঘ যানজট নিত্য যন্ত্রণা। সমস্যার কথা স্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রামপিয়ারী রাম বলেন, ‘‘বেহালা যেতে বাস, ভারী গাড়ির অধিকাংশই এই রাস্তা দিয়ে যায়। পুজোর আগে রাস্তা না সারালে ভয়ানক পরিস্থিতি হবে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, এই রাস্তাগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের।

খানাখন্দে ভরা রাস্তার সমস্যায় ভুগছে খিদিরপুর এলাকাও। সেখানে সত্য ডাক্তার রোডে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে বুধবার উল্টে যায় একটি কন্টেনার। নিজস্ব চিত্র

পুজো আসতে আর এক মাস। বেহাল রাস্তা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ পাওয়ার পরে গত সপ্তাহে আধিকারিকদের সঙ্গে বন্দর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। ছিলেন বন্দরের আধিকারিকেরাও। এর পরেই পুরসভা হাইড রোড ছাড়া বিভিন্ন রাস্তায় কাজ শুরু করেছে। তবে সেটা ঝামা ফেলে তাপ্পি দিয়ে মেরামতির কাজ বলে জানাচ্ছেন রামপিয়ারী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বন্দরকে বারবার জানিয়ে লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে পুরসভার রাস্তা বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের জানানো হয়েছে। পুরসভা তাপ্পি মারা শুরু করেছে। তবে এই সংস্কারের কাজ বেশি দিন টিকবে না।’’

পুর কমিশনার বলেন, ‘‘শীঘ্রই বন্দর এলাকার রাস্তাগুলির সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে।’’ কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাইড রোডের একাংশে ঝামা ফেলে তাপ্পি মারার কাজ বন্দর কর্তৃপক্ষ শুরু করবেন।’’ তাঁর আশ্বাস, পুজোর আগে ওই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে।

Construction Road Majerhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy