দমদম পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
এক বারে নয়। এক মাসে দু’ধাপে ক্যাজ়ুয়াল কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, উত্তর দমদম পুরসভার কিছু কর্মীর ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে দেওয়া হল বেতন! বিরোধীদের একাংশের কথায়, পুরসভায় এমন ঘটনার কথা আগে শোনা যায়নি। পুর কর্তৃপক্ষের যুক্তি, সাময়িক ভাবে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে পুরসভা। তবে এ জন্য পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন ঘটেনি বলেই দাবি কর্তৃপক্ষের।
কিন্তু আচমকা এমন পরিস্থিতি হল কেন? পুরসভার দাবি, সম্পত্তিকর বাবদ বকেয়া রয়েছে অনেক টাকা। বর্তমান পুর বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পরে খাল সংস্কার ও রাস্তার আমূল সংস্কার-সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করছে। যার জেরে আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ বাম নেতা-কর্মীরা। তাঁদের কথায়, দৈনন্দিন পরিষেবা বজায় রাখা ছাড়া বলার মতো নতুন কিছুই করেনি এই পুর বোর্ড। বরং আয় বাড়ানোয় পিছিয়ে পড়েছে পুরসভা। ফলে ঘাটতি হবেই। এর প্রভাব পড়বে পরিষেবায়।
স্থানীয়দের কথায়, এলাকায় বহুতলের সংখ্যা বেড়েছে। আরও বাড়বে। এই পুর এলাকার অধীন বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে, যশোর রোডের অংশে বিজ্ঞাপন থেকে আয় আরও বৃদ্ধি হওয়া উচিত। অনেক আবাসিক বাড়ি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সম্পত্তিকরের যথাযথ মূল্যায়ন হলে নিশ্চিত ভাবেই সেই সব সম্পত্তি থেকে আয় বাড়বে।
অভিযোগ খারিজ করে পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মানুষের উপরে করের বোঝা তাঁরা চাপাননি। তা সত্ত্বেও একের পর এক উন্নয়ন হচ্ছে, করের মূল্যায়ন হচ্ছে এবং বকেয়া কর আদায়েও জোর দেওয়া হচ্ছে। পুর চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাসের দাবি, আর্থিক সমস্যা রয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে পরিষেবায় এ সবের প্রভাব পড়েনি। পুরসভাকে স্বনির্ভর করতে আয় বৃদ্ধি ও নতুন আয়ের পথ তৈরির চেষ্টাও চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy