E-Paper

পরীক্ষায় টুকতে বাধা দেওয়ায় কলেজে ভাঙচুর, মারামারি

পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ এই কলেজে স্নাতকোত্তর পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষা চলছে। অভিযোগ, এ দিন এক দল পরীক্ষার্থী শিক্ষকদের বলেন, প্রশ্ন কঠিন হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৬
A Photograph representing students giving examination

বুধবার, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ একটি কলেজে স্নাতকোত্তর পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষা চলছিল। প্রতীকী ছবি।

স্নাতকোত্তর পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষায় টুকতে বাধা দেওয়ায় কলেজের সিলিং ফ্যান, চেয়ার, বেঞ্চ ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত সান্ধ্য কলেজে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রদের পাল্টা দাবি, পরিকল্পিত ভাবে তাঁদের ছাত্র সংসদের ঘরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। গোলমালে আহত চার পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ এই কলেজে স্নাতকোত্তর পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষা চলছে। অভিযোগ, এ দিন এক দল পরীক্ষার্থী শিক্ষকদের বলেন, প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। তাঁদের যেন টোকার সুযোগ দেওয়া হয়। শিক্ষকেরা রাজি না হওয়ায় ওই পরীক্ষার্থীরা কলেজে ভাঙচুর চালান, দেওয়ালেও অশালীন কথা লেখেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে থানায় খবর দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাশগুপ্ত জানান, তাঁদের কলেজে সরকারি কলেজগুলির সঙ্গে একটি বেসরকারি কলেজের পড়ুয়ারাও পরীক্ষা দিচ্ছে। ওই বেসরকারি কলেজের কয়েক জন ছাত্রই এ দিনের ঘটনায় জড়িত। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘প্রশ্ন কঠিন হওয়ায় কয়েক জন নকল করতে চেয়েছিল। বাধা দেওয়ায় তারা ভাঙচুর চালায়।’’ যদিও অভিযুক্ত ছাত্রদের দাবি, পরীক্ষা শেষে তাঁদের বেরোতে দেরি হওয়ায় প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে পরিকল্পিত ভাবে মারধর করা হয়। তাঁরা ভাঙচুরে জড়িত নন। মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy