পর পর দু’দিন কলকাতায় ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব, সেই একই মামলায় শুক্রবার জামিন মঞ্জুর হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সে নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন চন্দ্রনাথ। পাশাপাশি জানালেন, তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করছেন। তাঁর কাছে কিছু নথিপত্র চেয়েছেন তদন্তকারীরা। তিনি খানিক সময় চেয়েছেন। বলেছেন কালীপুজোর পর পাঠিয়ে দেবেন।
আবার কি ইডির ডাক পড়তে পারে? প্রাথমিক নিয়োগ মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য? চন্দ্রনাথের জবাব, ‘‘কিছু কাগজ চেয়েছে ওরা। পাঠিয়ে দেব। আর বলেছি, যখন খুশি ডাকবেন। ডাকলে সাত দিন সময় দেবেন। চলে আসব।’’ এর পর পার্থের জামিন প্রসঙ্গে চন্দ্রনাথের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ‘‘আশা করছি, খুব শীঘ্রই ছাড়া পাবে। মা দুর্গা আসছেন। অশুভ শক্তির পরাজয় হবে। আস্তে আস্তে অনেক কিছু পরিবর্তন হবে।’’
উল্লেখ্য, ইডি এবং সিবিআইয়ের সমস্ত মামলা থেকে জামিন পেলেও পার্থ পুজোর আগে জেল থেকে বার হতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলার শর্তের জন্য আরও কয়েক দিন জেলেই থাকতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। গত ১৮ অগস্ট পার্থের জামিন মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, জামিনের বন্ড করার আগে নিম্ন আদালতকে চার্জ গঠন করতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জ গঠন করবে নিম্ন আদালত। তার পরে দু’মাসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের জবানবন্দি নথিবদ্ধ করতে হবে। তার পরেই পার্থকে জামিন দিতে পারবে নিম্ন আদালত।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই তদন্তের স্বার্থে চন্দ্রনাথকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় এবং মন্ত্রীর আগাম জমিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে আদালত। তবে এ-ও জানিয়েছিল, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে চন্দ্রনাথকে। সেই মতো বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও সিজিও কমপ্লেক্সে যান বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন চন্দ্রনাথ। ইডি তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। আদালত চন্দ্রনাথের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। জানানো হয়েছে, জামিন পেলেও আপাতত নিজের বিধানসভা কেন্দ্র এবং কলকাতা ছাড়া অন্য কোথাও যেতে পারবেন না মন্ত্রী। যত দিন এই সংক্রান্ত শুনানি শেষ না-হচ্ছে, তত দিন এই নিয়ম মানতে হবে।