কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে ভিড়ের চিত্র মোটামুটি এক। ছবি: সংগৃহীত।
সপ্তমীতে কলাবউ স্নান দিয়ে পুজোর উপাচার শুরু। মণ্ডপে ভিড়েরও শুরু তখন থেকেই। সপ্তমীর কলকাতায় সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে জনতার ঢল। দুপুর যত গড়িয়েছে, তত বেড়েছে ভিড়। তার প্রভাবে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, সেন্ট্রাল এভিনিউ, গড়িয়াহাট, দেশপ্রিয় পার্কে তীব্র যানজট। তবে থমকে নেই যান। উল্টোডাঙা থেকে বিমানবন্দরগামী রাস্তাতেও ধীরে চলছে যান। কলকাতার উত্তর এবং দক্ষিণের বিখ্যাত মণ্ডপগুলিতে অন্তত ১০ মিনিট অপেক্ষা করলে তবেই হচ্ছে ঠাকুর দেখার সুযোগ।
সপ্তমীর দুপুর থেকেই দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপগুলিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ত্রিধারা সম্মিলনী, বালিগঞ্জ কালচারাল থেকে একডালিয়া, সিংহী পার্ক, কোথাও ভিড়ের কমতি নেই। ভিড় নেমেছে রাস্তাতেও। সে কারণে রুবি মোড় থেকে রাসবিহারী ক্রসিং পর্যন্ত তীব্র যানজট। যদিও যান থমকে নেই। ধীরে হলেও এগোচ্ছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ভিড় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন দর্শনার্থীরা। কারণ দক্ষিণ কলকাতায় কলকাতা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় দুপুর ২টোর পর থেকে বন্ধ অটো। বাসের সংখ্যাও কম। পায়ে হেঁটেই অনেকটা পথ পার হতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। সে কারণে রাস্তায় যানজট।
একই সমস্যা উত্তরেও। মেট্রো থেকে নেমে ঠাকুর দেখার জন্য দুপুর পর্যন্ত অটো মিললেও তার পর আর নেই। ফলে হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখতে হচ্ছে মানুষজনকে। তারই প্রভাব পড়েছে সেন্ট্রাল এভিনিউতে। দুপুরের পর থেকে সেখানে তীব্র যানজট। তবে গাড়ি একেবারে থমকে নেই। উল্টোডাঙা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তাতেও শ্রীভূমির পুজোর কারণে ধীরে চলছে যান। তবে ওই সব রাস্তায় ভিড় হতে পারে মনে করে আগেই থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী।
কলকাতা পুলিশের তথ্য বলছে, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আহিরীটোলা সার্বজনীনের ঠাকুর দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১০ মিনিট। বাগবাজার সার্বজনীনের ঠাকুর দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে সাত মিনিট। কলেজ স্কোয়্যারে ১৭ মিনিট, সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে ৩৮ মিনিট, টালা প্রত্যয়ে ২৪ মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভিড়ের নিরিখে উত্তরকে অনেকটাই টেক্কা দিয়েছে দক্ষিণ। সন্ধ্যা ৭টায় দেশপ্রিয় পার্কের পুজোর লাইনে দাঁড়ালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২১ মিনিট। চেতলা অগ্রণী ১৪ মিনিট, সুরুচি সঙ্ঘে ৩৩ মিনিট, শিব মন্দিরে ১১ মিনিট, ত্রিধারায় ১০ মিনিট, একডালিয়ায় ১১ মিনিট, সিংহী পার্কে ১৮ মিনিট ঠাকুর দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রাত যত বাড়ছে, এই অপেক্ষার সময়ও বাড়ছে। তবে ভিড়ের কথা ভেবে এ সব এলাকায় আগে থেকেই মোতায়েন রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy