E-Paper

সন্তানকে ‘দান’ করে হলফনামা দম্পতির

এসএনসিইউ-তে ভর্তি থাকা পুত্রসন্তানকে অন্য এক দম্পতিকে দান করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে এমনই আবেদনপত্র দেখে কার্যত চমকে উঠেছিলেন আর জি করের আধিকারিকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২৪
পেটের সমস্যার জন্য শিশুকে এসএনসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল।

পেটের সমস্যার জন্য শিশুকে এসএনসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল। — প্রতীকী চিত্র।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সন্তানকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নোটারি করে হলফনামা জমা দিয়েছেন বাবা-মা। তাতে জানানো হয়েছে, এসএনসিইউ-তে ভর্তি থাকা পুত্রসন্তানকে অন্য এক দম্পতিকে দান করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে এমনই আবেদনপত্র দেখে কার্যত চমকে উঠেছিলেন আর জি করের আধিকারিকেরা। ঘটনার নেপথ্যে শিশু কেনাবেচার কোনও চক্রের জড়িত থাকার আশঙ্কা থেকে কলকাতা জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি (সিডব্লিউসি)-কে খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাতে ওই শিশুটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিডব্লিউসি।

শিশুটির বাবা-মায়ের বাড়ি মধ্যমগ্রামে। তাঁদের আরও দু’টি সন্তান রয়েছে। পেটের সমস্যা নিয়ে দিনকয়েক আগে ওই শিশুটিকে এসএনসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছিল। এ দিন তাকে ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। তার আগে ২০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে লেখা ওই আবেদনপত্র জমা পড়ে হাসপাতালে। শিশুটির বাবা-মাকে ডেকে কথা বলেন আধিকারিকেরা। জানা যায়, নভেম্বরে তাঁরা শিশুটিকে ‘দান’ করেছেন। যে দম্পতিকে দান করা হয়েছিল, এ দিন তাঁরাও হাসপাতালে এসেছিলেন।

এ ক্ষেত্রে অর্থের বিনিময়ে শিশুর হস্তান্তর হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন সিডব্লিউসি-র এক সদস্য। কমিটির চেয়ারপার্সন মহুয়া শূর রায় বলেন, ‘‘অবৈধ ভাবে দত্তক দেওয়া হয়েছিল। জন্মের শংসাপত্র-সহ সব নথি খতিয়ে দেখা হবে। প্রতিপালনের সামর্থ্য না থাকায় অনেকে বেআইনি পথে সন্তান দান করেন। এ ভাবে দত্তক দেওয়া যায় না।’’ তিনি জানান, প্রতিপালনের ক্ষমতা না থাকলে বাবা-মা সন্তানকে সরকারের হাতে দিতে পারেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

child Children

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy