Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

রোগিণীর মৃত্যু, প্রশ্নে হাসপাতাল

রোগিণীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করে নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন মৃতার আত্মীয়েরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০১:৩২
Share: Save:

রোগিণীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করে নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন মৃতার আত্মীয়েরা। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম শম্পা সাহা। বাড়ি বাঙুরে। মঙ্গলবার বিকেলে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তদন্তের স্বার্থে শম্পার মৃতদেহের ময়না-তদন্ত করা হয়েছে বৃহস্পতিবার।

পুলিশ জানায়, সোমবার হোলির দিন শরীরে খিঁচুনি অনুভব করেন শম্পা। বেশ কয়েক বার তাঁর বমি হয়েছিল। ওই রাতেই তাঁকে নাগেরবাজারের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ রাতে হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, ওই মহিলার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে হাসাপাতাল থেকে জানানো হয় শম্পা মারা গিয়েছেন। তবে শম্পার অসুস্থতার পিছনে কোনও রহস্য রয়েছে আন্দাজ করে তাঁর দেহ ময়না-তদন্তে পাঠায় হাসপাতাল।

মৃতার স্বামী শৈবালবাবু স্বীকার করে নেন, হাসপাতাল প্রথমেই শারীরিক পরীক্ষা করে জানিয়েছিল শম্পা সম্ভবত ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খেয়েছিলেন। তবে শৈবালবাবু জানান, বৃহস্পতিবার ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে তাঁরা জানতে পারেন শম্পার হৃদ্‌পিণ্ড ফুটো ছিল। সেই সঙ্গে পাঁজরের হাড় ভাঙা ছিল। শৈবালবাবুর কথায়, ‘‘আমার স্ত্রীকে ভর্তি করার পরে এক্স-রে রিপোর্টে তেমন কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। কী করে এমন হল?’’

অন্য দিকে ওই বেসরকারি হাসপাতালের সিইও নিবেদিতা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘জরুরি পরিস্থিতিতে অস্থায়ী পেসমেকার বসাতে হয়েছিল ওই রোগিণীর দেহে। তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ম্যাসাজও করতে হয়েছিল। কিন্তু ম্যাসাজের সময়ে অনেক ক্ষেত্রে পাঁজর ভাঙার আশঙ্কাও থাকে। মহিলার অসুস্থতার পিছনে সন্দেহজনক কিছু থাকতে পারে ভেবেই মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Medical Negligence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE