Advertisement
E-Paper

নয়া প্রযুক্তি, ঘন কুয়াশাতেও নামছে বিমান

এটিসি-র জেনারেল ম্যানেজার বরুণকুমার সরকার জানিয়েছেন, এই পরীক্ষামূলক অবতরণগুলি সফল হলে এক মাসের মধ্যে কলকাতায় এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সুনন্দ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৫৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে এলেও যাতে বিমান নামতে পারে, তার জন্য মহড়া শুরু হল কলকাতা বিমানবন্দরে।

রানওয়ের দক্ষিণ প্রান্তে ‘ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম’ (আইএলএস) ক্যাট (ক্যাটাগরি) থ্রি-বি ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। বিমানবন্দরের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে দিনে চার-পাঁচটি যাত্রিবাহী বিমান রাজারহাটের দিক থেকে নামার সময়ে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এটিসি-র জেনারেল ম্যানেজার বরুণকুমার সরকার জানিয়েছেন, এই পরীক্ষামূলক অবতরণগুলি সফল হলে এক মাসের মধ্যে কলকাতায় এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কলকাতার প্রধান রানওয়ের দক্ষিণ প্রান্তে এখন আইএলএস ক্যাট-ওয়ান রয়েছে। সেই কারণে ও দিক থেকে নামার সময়ে ন্যূনতম ৫৫০ মিটার দৃশ্যমানতার প্রয়োজন। আর রানওয়ের উত্তরে বিরাটির দিক থেকে নামার সময়ে এখন ন্যূনতম ৩৫০ মিটার দৃশ্যমানতা প্রয়োজন। সেখানে আইএলএস ক্যাট টু বসানো রয়েছে।

দিল্লির মতো অতটা না হলেও শীতের শুরুতে কুয়াশা পড়ে এ শহরেও। দৃশ্যমানতা প্রায় ১০০ মিটারের কাছাকাছি নেমে আসে। এর আগে এই কারণে বেশ কয়েক বার কলকাতার মাথায় এসেও নামতে না পেরে মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে একের পর এক বিমান। তার পরে বারবার উন্নীত করা হয়েছে ল্যান্ডিং ব্যবস্থা। এই মুহূর্তে দেশে ব্যবহৃত সব চেয়ে আধুনিক ল্যান্ডিং ব্যবস্থা এই ক্যাট থ্রি-বি।

রানওয়ের দক্ষিণ প্রান্তে অবতরণের এই নয়া ব্যবস্থা বসানোর পরে তা ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করে গিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব বিমান। বুধবার থেকে যাত্রিবাহী বিমানকে বলা হয়েছে পরীক্ষা করে দেখতে। বিমানবন্দরের এক কর্তা জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক এই ব্যবস্থা ব্যবহার করার জন্য বিমানেও প্রয়োজনীয় যন্ত্র থাকা আবশ্যিক। যে দুই পাইলট সেই বিমান চালাচ্ছেন, তাঁদেরও ওই প্রশিক্ষণ থাকা জরুরি। দেশের আকাশে উড়ে বেড়ানো আধুনিক প্রায় সব বিমানেই প্রয়োজনীয় যন্ত্র থাকলেও ক্যাট থ্রি-বি প্রশিক্ষিত পাইলটের সংখ্যা তুলনায় অনেক কম।

গত দু’দিন ধরে কলকাতায় নামতে আসা সমস্ত বিমানের পাইলটকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, তাঁদের সেই প্রশিক্ষণ রয়েছে কি না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাইলট পাওয়া গেলে তাঁকে অনুরোধ করা হচ্ছে, নয়া ব্যবস্থা ব্যবহার করে দক্ষিণ দিক থেকে নেমে আসার জন্য। দিনে চার থেকে পাঁচটি বিমান এই ব্যবস্থা দু’দিন ধরে ব্যবহার করেছে বলে এটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই পরীক্ষা সফল হওয়ার পরে থ্রি বি-র জন্য প্রয়োজনীয় আলো লাগানো-সহ আরও কিছু কাজ বাকি থাকবে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, রানওয়ের দক্ষিণে থ্রি-বি চালু হলেও ঘন কুয়াশার মধ্যে ও দিক দিয়েই যে সব সময়ে বিমান নামানো সম্ভব হবে, তা নয়। কারণ, বিমানকে নামতে হয় হাওয়ার বিপরীতে। ফলে রানওয়ের কোন প্রান্ত দিয়ে বিমান নামবে, তা নির্ভর করবে হাওয়ার অভিমুখের উপরে। এক কর্তার কথায়, ‘‘তখন রানওয়ের এক দিকে ৩৫০ মিটার ও অন্য দিকে ৫০ মিটার দৃশ্যমানতায় বিমান নামতে পারবে।’’ সে ক্ষেত্রে এ শহর থেকে মুখ ঘুরিয়ে অন্য শহরে বিমান উড়ে যাওয়ার সংখ্যাও কমবে।

কলকাতা বিমানবন্দর Kolkata Airport Netaji Subhas Chandra Bose International Airport
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy