ছবি: এএফপি।
বিজেপির লালবাজার অভিযানের জেরে আজ, বুধবার মধ্য কলকাতার একটি বড় অংশ অচল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। লালবাজারের দাবি, বিভিন্ন দিক থেকে বিজেপি মিছিল করে আসতে পারে, এই আশঙ্কায় চারটি জায়গায় মিছিল আটকানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই চার জায়গা হল, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও ফিয়ার্স লেনের মোড়, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের সংযোগস্থল এবং ব্রেবোর্ন রোডে টি বোর্ডের দফতরের সামনের রাস্তা। ফলে ওই জায়গাগুলিতে সকাল ১০টা থেকেই যান চলাচল ব্যাহত হবে। দুপুরে মিছিল শুরু হলে মধ্য কলকাতায় যানজট আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে লালবাজার। সেই প্রভাব ধর্মতলা ছাড়িয়ে দক্ষিণ কলকাতাতেও ছড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিজেপি সূত্রের দাবি, তারা রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট হয়ে লালবাজারে যাওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছিল। লালবাজার জানিয়েছে, ২০১৭ সালের লালবাজার অভিযানের অভিজ্ঞতা থেকে তাদের ধারণা, চার দিক থেকে মিছিল করে এসে পুলিশকে নাস্তানাবুদ করতে পারেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তাই ওই চারটি রাস্তার সামনে বড় মিছিল আটকানো হবে। এর বাইরে লালবাজারের আশপাশের ছোট রাস্তাতেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে। গলিগুলিও গার্ডরেল দিয়ে আটকানো থাকবে।
লালবাজার সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত থেকেই ওই চারটি মোড়ে অ্যালুমিনিয়ামের দেওয়াল তৈরির কাঠামো রাখা হয়েছে। আজ, সকাল থেকে স্ক্রু দিয়ে জোড়া লাগিয়ে সেই দেওয়াল তৈরি করা হবে। দুপুর ১২টা থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হওয়ার কথা, তবে অ্যালুমিনিয়ামের ওই দেওয়ালের জন্য সকাল ১০টা থেকেই যান চলাচল ব্যাহত হবে। লালবাজারের এক কর্তার দাবি, ‘‘যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করা হবে। প্রয়োজনে গাড়িগুলিকে ঘুরপথে গন্তব্যে পাঠানোর চেষ্টা হবে।’’ তবে পুলিশেরই একটি সূত্র বলছে, সকাল ১০টা থেকেই চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের মতো রাস্তাগুলিতে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
লালবাজারের একটি সূত্রের খবর, বিজেপির মিছিল জুড়ে গোলমালের আশঙ্কায় বিরাট বাহিনী মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে একাধিক আইপিএস অফিসার থাকবেন। তৈরি রাখা হচ্ছে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠি ও ঢালধারী পুলিশ।
২০১৭ সালে বড় মিছিল আটকানো সত্ত্বেও সামনের বহুতলে লুকিয়ে থাকা বিজেপি কর্মীরা আচমকা লালবাজারে ঢুকে পড়েছিলেন। বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। লালবাজার এ বার তাই আশপাশের বহুতলের উপরে নজরদারি কঠোর করবে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সকাল থেকে ওই বহুতলগুলি তল্লাশি করা হবে। ঢোকা-বেরোনোর উপরেও নজর থাকবে। পাশাপাশি, নজর রাখা হবে শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy