সুইটি সূত্রধর। — নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুরের বাসিন্দা সুইটি সূত্রধর অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে ‘অসাবধানে’ ছাদ থেকে পড়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে কলকাতা পুলিশ।
বর্ষবরণের রাতে স্বামী কুন্তলের সঙ্গে সুইটি প্রথমে দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী পানশালায় গিয়েছিলেন। সেখানে পাঁচ পেগ করে মদ্যপানের পর ওই দম্পতি যাদবপুরের পোদ্দারনগরের ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
সন্ধে থেকে ওই বহুতলের ছাদে পার্টি চলছিলই। সেখানে গিয়েও মদ্যপান শুরু করে ওই দম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, পানশালায় প্রথমে তাঁরা ‘হুইস্কি’ খেয়ে ছিলেন। এর পর বাড়ি ফিরে পার্টিতে ‘রাম’ খেতে শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দু’জনে এতটাই বেসামাল হয়ে পড়েন যে, তাঁদের ঘরে চলে যেতেও বলা হয়।
আরও পড়ুন: দেওয়ালে নখের আঁচড়! মত্ত সুইটিকে একা ছাদে রেখে গিয়েছিলেন কেন, প্রশ্ন স্বামীকে
এর পরেও মদ খাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। তাঁদের ঘরে পৌঁছে দেন ওই বহুতলের বাসিন্দারা। কুন্তল অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু সুইটি ফের ছাদে এসে মদ খেতে থাকেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত দু’টো পর্যন্ত ওই দম্পতির সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশীরা। তার পর খুব ভোরের দিকে ওই বহুতলের ফাঁকা অংশ থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পান তাঁরা। বিষয়টি কলকাতা পুলিশের ১০০ ডায়ালে ফোন করে জানিয়েও ছিলেন বহুতলের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ধাক্কা হাইকোর্টে, ভাটপাড়া পুনর্দখল করতে পারল না তৃণমূল
এ দিকে সকাল ১০টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে কুন্তল তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাননি। তিনি বহুতলের ছাদে ও আশপাশে সুইটিকে খুঁজে পাননি। স্ত্রীকে না পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে যান। ইতিমধ্যে নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরে শেষমেশ ওই বহুতলের ফাঁকা জায়গায় সুইটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথ’-এর কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করলেও নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: এনপিআর ম্যানুয়ালে বাদ মুসলিমদের উৎসব তালিকা
যাদবপুরের পোদ্দারনগর এলাকায় প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ওই বহুতলের চারতলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন কুন্তল এবং তাঁর স্ত্রী সুইটি। পুরুলিয়ার বাসিন্দা কুন্তলের পারিবারিক হোটেল ব্যবসা রয়েছে। সুইটি একটি কলসেন্টারে কর্মরতা ছিলেন। বছরখানেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। পোদ্দারনগরের এই ফ্ল্যাটে তাঁরা আসেন মাস চারেক আগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy