যত্নে গুছিয়ে রাখা শখের লাল ওয়াইন। লক্ষাধিক মূল্যের সেই সব বোতল সমেত সবার অলক্ষ্যে হাপিস হয়ে গেল! বিস্তর খোঁজাখুজির পরেও তার কোনও খোঁজ না পেয়ে শেষে থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হতে হল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কড়েয়া থানা এলাকার গুরুসদয় দত্ত রোডে। মোট আটটি রেড ওয়াইনের বোতল চুরি গিয়েছে বলে শুক্রবার বিকেলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই বাড়ির দেখাশোনা করা এক কর্মী এই চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁরবয়ান নথিভুক্ত করে মামলা রুজু হয়েছে। ‘শৌখিন’ চোরের সন্ধানে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রের খবর, বোতলগুলির প্রতিটি কয়েক দশকের পুরনো। যার বাজারমূল্য তিন লক্ষ টাকার বেশি বলে অভিযোগকারীর দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী ওই কর্মী আদতে ঝাড়খণ্ডের গিরিডির বাসিন্দা হলেও গুরুসদয় দত্ত রোডের ওই বাড়িতে কাজ করেন। মূলত, তিনি বাড়ির গৃহসেবক। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, বাড়ি মালিকেরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপরে থাকলেও বেসমেন্টে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জায়গা রাখা রয়েছে। সেখানে পরিবারিক অনুষ্ঠান, জমায়েত বা আড্ডা নিয়ম করে লেগেই থাকে। আটটি ওয়াইনের বোতলও সেখানে রাখা ছিল। অভিযোগ, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেই জায়গায় বাড়ির সদস্যদের একাংশ জড়ো হয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ির সদস্যেরা আটটি লাল ওয়াইনের বোতল দেখিয়ে গৃহসেবিকাকে নির্দেশ দেন, বিনা অনুমতিতে কেউ যেন সেগুলিতে হাত না দেন। তার পর থেকে ঘরটি তালা বন্ধ ছিল বলে অভিযোগকারীর দাবি।
অভিযোগকারী পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, সে দিনের পর আরও এক বার এক অনুষ্ঠানের জন্য বেসমেন্টে জমায়েত হয়েছিল। অনুষ্ঠানের পরদিন বেসমেন্ট পরিষ্কার করা হয়। তার পর থেকে বন্ধই ছিল। চলতি মাসে বাড়ির মালিক ফিরে এসে ওয়াইন রাখার নির্দিষ্ট জায়গায় আরও কিছু জিনিস রেখে আসতে বলেন। সেই সময়ে সেখানে লাল ওয়াইনের বোতলগুলি চোখে পড়েনি বলে অভিযোগকারীর দাবি। সেদিনই বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান থাকায় কাউকে কিছু না বললেও পরদিন বাড়ি মালিককে বিষয়টি তিনি জানান। এর পরেই পুলিশকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। পুলিশকে ওই কর্মী জানিয়েছেন, বেসমেন্টের দু’টি তাকে লাল ওয়াইনের ওই আটটি বোতল রাখা ছিল। কিন্তু একটিও সেখানে পাওয়া যায়নি।
তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রথমে বাড়ির অন্যান্য জায়গায় খোঁজা হয়েছিল। কিন্তু বোতলগুলি না পাওয়া যাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে পুলিশকে জানানো হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কর্মীর বয়ান নিয়ে মামলা রুজু করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)