E-Paper

ভুয়ো পার্সেল নিয়ে প্রতারণার নতুন ছক, সতর্ক করছে পুলিশ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণা চক্রের সদস্যেরা সাধারণত অনলাইন শপিং সংস্থার নাম ভাঙিয়ে কাজ করে। তারা কুরিয়ার ডেলিভারির অজুহাতে বাড়িতে গিয়ে বা ফোন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:২২

—প্রতীকী চিত্র।

আচমকা দরজায় কড়া নাড়ল এক ব্যক্তি। হাতে একটি পার্সেল। দাবি— এটি আপনার নামে পাঠানো হয়েছে কোনও ই-কমার্স সংস্থার তরফে। অথচ, আপনি তো এমন কোনও অর্ডারই দেননি! সন্দেহ প্রকাশ করতেই শুরু হয় আসল খেলা— পার্সেল বাতিল করতে হলে মোবাইলে পাঠানো একটি লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে, সঙ্গে একটি ওটিপি শেয়ার করতে বলা হয়। আর আপনি যদি এক বার সেই ওটিপি শেয়ার করেন, তা হলে মুহূর্তের মধ্যেই আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এমনকি ফোনের নিয়ন্ত্রণও চলে যেতে পারে প্রতারণা চক্রের হাতে।

সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই নতুন ধরনের প্রতারণা বাড়ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বনগাঁ মহকুমার বেশ কয়েকটি জায়গায়ও এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে বনগাঁ জেলা পুলিশ ‘ফেক অর্ডার স্ক্যাম’ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতে প্রচার অভিযান শুরু করেছে।

জেলা পুলিশের উদ্যোগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম— ফেসবুক, এক্স (টুইটার), ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতিতে প্রচার চালানো হচ্ছে। সেখানে সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে— “আপনি অর্ডার দেননি, এমন কোনও পার্সেল এলে তা গ্রহণ করবেন না। কোনও অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করবেন না, ওটিপি শেয়ার করবেন না।”

বনগাঁ জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, “প্রতারকেরা এখন নতুন কৌশল নিয়েছে। ওটিপি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও ব্যাঙ্কের ডেটা হ্যাক হয়ে যেতে পারে। এতে আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। তাই সতর্ক থাকুন, অপরিচিত কারও কথায় বিশ্বাস করবেন না।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণা চক্রের সদস্যেরা সাধারণত অনলাইন শপিং সংস্থার নাম ভাঙিয়ে কাজ করে। তারা কুরিয়ার ডেলিভারির অজুহাতে বাড়িতে গিয়ে বা ফোন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। কখনও ‘রিফান্ড’ বা ‘বাতিল’ করার অজুহাতে লিঙ্ক পাঠানো হয়, আবার কখনও অর্ডার না করেও ‘গিফট পার্সেল’ পাঠিয়ে ফাঁদ পাতা হয়।

জেলা পুলিশের পরামর্শ— অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। অপরিচিত ফোন নম্বর বা মেসেজের প্রতিক্রিয়া দেবেন না। কোনও অবস্থাতেই ওটিপি বা ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করবেন না। সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী থানায় বা সাইবার সেলে যোগাযোগ করুন। বনগাঁ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরনের প্রতারণা রুখতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে— সচেতন থাকুন, অন্যকেও সতর্ক করুন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Parcel police investigation Security

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy