E-Paper

ময়নাতদন্তেও প্রভাব খাটিয়েছেন অভিযুক্ত? সিবিআই তদন্ত চান প্রজ্ঞাদীপার পরিজনেরা

পুলিশি হেফাজতে ছ’দিন থাকার পরে প্রজ্ঞাদীপার সঙ্গী, অভিযুক্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে এ দিন আদালতে তোলা হয়। তিনি আগাগোড়াই চুপ ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৩ ০৬:০৮
An image of Pragya Deepa Halder

চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদার। —ফাইল চিত্র।

চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যু-তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্ত চাইলেন তাঁর পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে প্রজ্ঞাদীপার পরিবারের আইনজীবী লিটন মৈত্র বলেন, ‘‘পুলিশি তদন্তে আমরা খুশি নই। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মর্মে আবেদন জানানো হবে। সিবিআই প্রকৃত সত্য সামনে আনতে পারবে বলে আমরা মনে করি।’’

পুলিশি হেফাজতে ছ’দিন থাকার পরে প্রজ্ঞাদীপার সঙ্গী, অভিযুক্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে এ দিন আদালতে তোলা হয়। তিনি আগাগোড়াই চুপ ছিলেন। তদন্তের স্বার্থে আরও আট দিন পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হলে বিচারক বিবেক তামাং তা মঞ্জুর করেন। এ দিন প্রজ্ঞাদীপার পরিবারের আইনজীবী পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার বদলে খুনের মামলা হওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেন। এমনকি, তাঁর অভিযোগ, ময়না তদন্তেও অভিযুক্ত প্রভাব খাটিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘সেনা ছাউনিতে এই ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যাঁর ঘরে দেহ মিলল, তিনি দায় এড়াতে পারেন না। কারণ, তিনি লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন।’’ সেনার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

কৌশিকের আইনজীবী সুদীপ মৈত্র মনোরোগ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে বলেন, ‘‘প্রজ্ঞাদীপার সামান্য পার্সোনালিটি ডিজ়অর্ডার ছিল। মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে কেউ মারধর করেনি। নিজেই নিজের শরীরে আঘাত করেছেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

CBI Investigation unnatural death doctor

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy