যত জন শিশু কিডনির অসুখে আক্রান্ত হয়, তাদের ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রেই কারণ বংশগত। তবে ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই গর্ভস্থ শিশুর কিডনির অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা, তা জানা সম্ভব।শহর ছাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলেও গর্ভবতীদের ওই ‘অ্যান্টি নেটাল স্ক্যান’-এর সংখ্যা বাড়ানোর দিকে জোর দিলেন চিকিৎসকেরা।শনিবার ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব নেফ্রোলজি’ (পূর্বাঞ্চল) এবং ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ’-এর পেডিয়াট্রিক-নেফ্রোলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগেআয়োজিত আলোচনায় এমনই কথা উঠে এল।
শিশুদের বিরল অসুখের চিকিৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্র এসএসকেএমের নোডালঅফিসার, চিকিৎসক সুচন্দ্রা মুখোপাধ্যায় জানান, বংশানুক্রমিক কিডনির অসুখ ধরতে ওই হাসপাতালে কিছু পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে জিনগতভাবে শিশুটি আগামীতে কিডনির অসুখে আক্রান্ত হতে পারে কিনা, তা আগাম জানা যায়। এই সবের পাশাপাশি শিশুদের কিডনির সমস্যা নির্ণয় করা থেকেকী ভাবে তা আগাম প্রতিরোধ করা সম্ভব, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এ দিন। ‘ইন্ডিয়ানইনস্টিটিউট অব নেফ্রোলজি’-র (পূর্বাঞ্চল) সম্পাদক, চিকিৎসক প্রতীক দাস বলেন, ‘‘বংশপরম্পরায় কেউ কিডনির অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে কিনা,সেটা জানতেই জেনেটিক টেস্টিংয়ের উপরে জোরদেওয়া হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)