Advertisement
E-Paper

আজ থেকে ক্যাম্পাসেই রাত কাটাবেন প্রেসিডেন্সির ৮০ পড়ুয়া

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার অনুরোধ সত্ত্বেও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থেকে সরছেন না আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৮ ১৫:০১
নিজেদের দাবি থেকে সরছে না প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।— ফাইল চিত্র।

নিজেদের দাবি থেকে সরছে না প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।— ফাইল চিত্র।

হিন্দু হস্টেল ইস্যু ক্রমশই জটিল হচ্ছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার অনুরোধ সত্ত্বেও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থেকে সরছেন না আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।

মঙ্গলবার তাঁদের ঘোষণা, বিক্ষোভ যেমন চলছিল চলবে। কাউকে ঘেরাও করা হবে না। যত দিন না হিন্দু হস্টেলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তত দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই থাকবেন ৮০ জন পড়ুয়া।

শুক্রবার থেকে হিন্দু হস্টেলের দাবিতে উত্তাল প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাস। এ দিনও একই চিত্র। স্লোগান এবং বিক্ষোভে ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা। প্রেসিডেন্সিই এখনও যেন হিন্দু হস্টেলের আবাসিকদের ‘ঘর’। যদিও তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের সঙ্গে এখানে রাত্রিবাস কখনই সমর্থনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।

আন্দোলনকারী পড়ুয়া কঙ্কনা মুখোপাধ্যায় বলেন, “এত দিন ধরে কী করছিলেন কর্তৃপক্ষ? তিন বছর কম সময় নয়, এখনও একটি ব্লকের কাজই শেষ হয়নি। আবাসিকদের রাজারহাটের হস্টেলে থাকতে হচ্ছে। এত দূর থেকে যাতায়াত করতে সময় নষ্ট হচ্ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তৎপরতার সঙ্গে কাজ হলেও, ‘এ’ ব্লকের কাজ শেষ হতে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে। বাকি দুটি ব্লকের সংস্কার শুরুই হয়নি। মোট তিনটি ব্লকে তিনশো জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

হিন্দু হস্টেলের ভিতরের মাঠ।— নিজস্ব চিত্র।

শতাব্দী প্রচীন হিন্দু হস্টেলের সংস্কার ধীর গতিতে চলছে, তা মেনে নিয়েছেন এক আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য, “সরকারি কাজ। দেরি তো হবেই। আমাদের কোনও হাত নেই। ইচ্ছে থাকলেও বিপজ্জনক অবস্থায় তো আর পড়ুয়াদের থাকার অনুমতি দেওয়া যায় না।”

আরও পড়ুন: হিন্দু হস্টেলের দাবিতে উত্তাল প্রেসিডেন্সি, সরকারের কোর্টেই বল ঠেললেন উপাচার্য

হস্টেল সংস্কারের দায়িত্বে রয়েছেন পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। এই হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের নকশা অবিকল রেখেই সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কারের বিষয়ে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছেন উপাচার্য। তাঁর আশা, আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে অন্তত্য একটি ব্লকে পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা করা যাবে।

আরও পড়ুন: হস্টেলে দেরির দায় নিয়ে ক্ষমা চাইছি: লোহিয়া

কেন এত দেরি হচ্ছে, এ বিষয়ে পূর্ত দফতরের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে এ নিয়ে সরকারের কোর্টেই বল ঠেলেছেন।

Hindu Hostel Anuradha Lohia Presidency University
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy