Advertisement
E-Paper

প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনে অবরুদ্ধ বাঘাযতীন, পার্থর সঙ্গে বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র

রাস্তা অবরোধের কথা শুনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আলোচনার জন্য ওই শিক্ষকদের তাঁর বাড়িতে ডেকে পাঠান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৩০
বাঘাযতীনে রাস্তা আটকে এভাবেই সাত ঘণ্টা বিক্ষোভ চলেছে। —নিজস্ব চিত্র

বাঘাযতীনে রাস্তা আটকে এভাবেই সাত ঘণ্টা বিক্ষোভ চলেছে। —নিজস্ব চিত্র

বেতন বৈষম্যের অভিযোগ তুলে নজিরবিহীন ভাবে ৭ ঘণ্টা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখালেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাঘাযতীন পর্যন্ত মিছিল করে তাঁরা রাস্তার উপরেই বসে পড়েন। ফলে যাদবপুর-গড়িয়ার মধ্যে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বুধবার দুপুর থেকেই। তার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়েন দক্ষিণ শহরতলির বাসিন্দারা। বন্ধ ছিল যানচলাচল। রাতে অবরোধ তুলে নেওয়ার পর ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পার্কে ফের অবস্থানে বসতে গেলে, পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ।

এ দিন রাস্তা অবরোধের কথা শুনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আলোচনার জন্য ওই শিক্ষকদের তাঁর বাড়িতে ডেকে পাঠান। তিন জনের প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনাও হয়। পরে ওই প্রতিনিধি দলের তরফে জানানো হয়, তাঁদের কথা শুনলেও এ বিষয়ে কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। এ বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁরা কি দাবি করছেন, সেটা ওঁদের ব্যাপার। সরকার সাধ্যমতো বেতন বৃদ্ধি করে বিবৃতি জারি করেছে। ওঁদের যদি কিছু বলার থাকে, লিখিত ভাবে জানান নির্দিষ্ট জায়গায়। এর পরেও বেতন বৃদ্ধি করা যায় কি না অর্থ দফতরের সঙ্গে কথা বলে দেখব। কিন্তু, রাস্তায় বসে এ ভাবে হঠাৎ হঠাৎ আন্দোলন ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট মানবিক। ওঁদের জন্য যথেষ্ট করা হয়েছে।’’

বেতন কাঠামো নিয়ে সরকারের তরফে সঠিক আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডে বিক্ষোভ চলবে বলে এ দিন সকালেই জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। রাস্তা আটকে চলে বিক্ষোভ। এ দিন সন্ধ্যাতেও সেই বিক্ষোভ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না যায় সে কারণে মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশও। বিক্ষোভকারীরা যাতে আর এগোতে না পারেন সে জন্য রাস্তার উপরে ব্যারিকেড করা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে জল কামান।’’

আরও পড়ুন: ‘আর কারও কাছে যাওয়ার দরকার নেই’, অধ্যাপকসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ‘অর্থ’ বুঝতে চাইলেন রাজ্যপাল

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, ‘বুলবুল’ কোথায় আছড়াবে এখনও স্পষ্ট নয়

লোকসভা ভোটের আগে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মতলায় প্রেস ক্লাবের কাছে অনশনে বসেছিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। দীর্ঘ আন্দোলনের পর শেষ পর্যন্ত রাজ্যের তরফে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু এই বেতন বৃদ্ধিতে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। ফলে ফের তাঁরা আন্দোলনের পথে হাঁটলেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সরকার যে ভাবে বেতনক্রম বাড়ানোর কথা বলেছিল, তা হয়নি। গ্রেড পে–এর সঙ্গে পে ব্যান্ডও পরিবর্তন হবে বলে দাবি করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেসিক গ্রেড পে-তে মাত্র ৩০০ টাকা বেড়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে বাস্তবে অনেকের বেতন কাঠামো মিলছে না। বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিয়ে নতুন করে সমাধান না হলে ফের অনশনের পথে তারা হাঁটবে বলে জানানো হয়েছে ‘উস্তি ইউনাই়টেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে।

Primary Teacher Agitation Baghajatin Partha Chatterjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy