Advertisement
E-Paper

বধূর মৃত্যুতে চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ

এক প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নুর আয়েষা খাতুন (২৭) নামের ওই মহিলার মৃত্যু হয় শনিবার রাতে। তাঁর বাড়ি খড়দহে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২৩

এক প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। নুর আয়েষা খাতুন (২৭) নামের ওই মহিলার মৃত্যু হয় শনিবার রাতে। তাঁর বাড়ি খড়দহে।

পুলিশ জানায়, মৃত্যুর প্রতিবাদে রবিবার আয়েষার পরিজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসকদের ঘেরাও করে রাখা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। হাসপাতাল এবং থানায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ জানান তাঁরা।

তাঁদের অভিযোগ, ২০ দিন ধরে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আয়েষা। কিন্তু তাঁর চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত করা হবে। পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে।

আয়েষার বাড়ি খড়দহের রামহরি বিশ্বাস ঘাট রোডে। গত ১৪ অক্টোবর তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাড়ির কাছের বলরাম বসু স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা কিছুটা জটিল ছিল বলে তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আয়েষার স্বামী মহম্মদ আনিস জানান, ওই দিনই আয়েষার অস্ত্রোপচার হয়। তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরের দিন আয়েষা এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে সাধারণ শয্যায় দেওয়া হয়। সমস্যা শুরু হয় তার পরের দিন থেকে। আয়েষার পরিজনেদের অভিযোগ, তাঁর পেটের সেলাই এবং অস্ত্রোপচারের জায়গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়।

আনিস বলেন, ‘‘ফের অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে হাসপাতাল জানায়। কিন্তু কারণ জানাননি চিকিৎসকেরা। মনে হয় আয়েষার পেটের ভিতর কিছু রয়ে গিয়েছিল। তাই দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। চিকিৎসকেরা গুরুত্ব দেননি।’’ দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের পরে আয়েষা আর সুস্থ হননি।

আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, বারবার জানতে চাইলেও হাসপাতাল তাঁদের কিছুই জানায়নি। ২০ দিন ভর্তি ছিলেন আয়েষা।

পরিবারের অভিযোগ, সেখানে আয়েষার ঠিক মতো চিকিৎসা হয়নি। আবার অন্য হাসপাতালেও তাঁকে রেফারও করা হয়নি। প্রসবের সময়ে অস্ত্রোপচারে গোলমাল ছিল বলেই দাবি আয়েষার পরিবারের।

হাসপাতালের সুপার গৌতম জোয়ারদার বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ওই মহিলা দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আমরা তাঁকে সুস্থ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু, তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হবে।’’

Death Protest Doctor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy