Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

আরাম-ঘরে পঞ্জাবী ফুর্তি

গেটটা হাল্কা ঠেলে এক পা ভিতরে দেওয়া মাত্র মন যেন বল্লে বল্লে! পঞ্জাবী গানের তুন তুনক তুন, সামনেই মস্ত বুফে। কী নেই তাতে! মালাই, মাখন, মেথি, রসুন, মরিচের নানা তুকতাক। মাছ, মাংস, চিংড়ি, কুলচা, কিমা— সবে মিলে এক্কেবারে হই হই।

সুচন্দ্রা ঘটক
শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২৯
Share: Save:

গেটটা হাল্কা ঠেলে এক পা ভিতরে দেওয়া মাত্র মন যেন বল্লে বল্লে! পঞ্জাবী গানের তুন তুনক তুন, সামনেই মস্ত বুফে। কী নেই তাতে! মালাই, মাখন, মেথি, রসুন, মরিচের নানা তুকতাক। মাছ, মাংস, চিংড়ি, কুলচা, কিমা— সবে মিলে এক্কেবারে হই হই।

দেশ ভাগের পরে সবে যখন একটু করে গুছিয়ে উঠছিলেন পঞ্জাবের মানুষজন, তখন থেকেই দেশ জুড়ে বিভিন্ন হাইওয়ের ধারে এক-এক করে মাথা তুলতে শুরু করে ছোট-বড় খাবারের দোকান। চটপটা পঞ্জাবী খানার দিকে সেই থেকেই মন গিয়েছে ভারতের প্রায় সব অঞ্চলের লোকজনের। ‘রোড সাইড ধাবা’র বাটার চিকেন, মেথি মছলি, পালক পনীর, আচারি আলুর রমরমা সেই থেকে বেড়েই চলেছে। ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে দিল খোলা বলে পরিচিত পঞ্জাবীদের খাবার জয় করে নেয় কলকাতার দিলও। বছর কয়েক আগেও যখন অন্য কোনও অঞ্চলের খাবারের কদর করতে নারাজ শহুরে বাঙালি, সে সময়েও কলকাতার আশপাশের বড় রাস্তার ধারে যথেষ্ট সম্মান পেয়েছে সরসো দা সাগ, মক্কি দি রোটি বিক্রির ধাবা। রুচি বদলে কলকাতা এখন কসমোপলিটন। কদর বেড়েছে নানা প্রান্তের রসনারও। সে সবের মধ্যেও হারিয়ে যায়নি বাঙালির তন্দুরি প্রীতি। কর্পোরেট বাঙালি বরং এখন মাঝেমাঝেই দাবি জানান, আরও একটু আরাম-ঘরে বসে পঞ্জাবী ফুর্তির। ঠিক তেমন রসিকদের জন্যই এ বার আয়োজন করা হয়েছে পঞ্জাবী ভোজের। থাকছে লসুনি ঝিঙ্গা, মটন কিমা তে কলেজি, মলাই মর্গ, মেথি মছলির মতো নানা সুখাদ্য।

উৎসব চলবে আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত। যে কোনও দিন দুপুর অথবা সন্ধ্যায় ঢুকে পড়লেই হল বাইপাসের ধারে সিগরি রেস্তোরাঁয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Punjabi food Cuisine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE