প্রতীকী ছবি।
রাস্তা ও নিকাশির সংস্কারে জোর দিয়ে গত বুধবার বাজেট পেশ হয়েছিল বিধাননগর পুরসভায়। শুক্রবার সেই বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হলেও রাস্তা ও নিকাশির বরাদ্দ নিয়ে অধিবেশনে প্রশ্ন তোলেন বিধাননগরের মেয়র পারিষদ ও কাউন্সিলরদের একাংশ। যদিও মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, ওই দুই বিভাগের কাজের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পও রয়েছে। প্রয়োজনে সেখান থেকেও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
এ বার পুর বাজেটে রাস্তা ও নিকাশির সংস্কারে যথাক্রমে তিন কোটি এবং এক কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এ দিন পুরসভায় বাজেট নিয়ে আলোচনার সময়ে মেয়র পারিষদ আরাত্রিকা ভট্টাচার্য জানান, বাজেট অনুযায়ী ওয়ার্ড পিছু সাত লক্ষ টাকা রাস্তার কাজের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে। সেই টাকায় কী ভাবে সংস্কার সম্ভব, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। আবার বরো চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় জানতে চান, গত বছর বাগুইআটি, অর্জুনপুরের মতো বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ জলযন্ত্রণায় ভোগা সত্ত্বেও এ বার বাজেটে কেন তার প্রতিফলন নেই? পুরসভা সূত্রের খবর, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ নাগ মেয়রকে জানান, গরিব মানুষের জন্য সরকারের ‘সমব্যথী’ প্রকল্পের বরাদ্দও এ বার বাজেটে কমে গিয়েছে। একই সঙ্গে রাজারহাট এবং সল্টলেকের চতুর্থ শ্রেণির পুরকর্মীদের মধ্যে বেতন নিয়ে বৈষম্য রয়েছে বলেও তিনি জানান।
পরে মেয়র জানান, হাতে সময় না থাকায় বাজেট এক রকম ভাবে পেশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ আছে। রাস্তা, পানীয় জল কিংবা নিকাশির কাজের জন্য আম্রুত-সহ বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। পুরসভাকে সীমিত বরাদ্দেই কাজ করতে হবে। বেতনের বৈষম্যের সমস্যা মেটাতে পুর দফতরের কাছে চিঠি দিয়েছি।’’
অন্য দিকে, আয় বাড়াতে সল্টলেকে রাতে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ফি বরাদ্দ করার পথে বিধাননগর পুরসভা হাঁটছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy