পুজো মণ্ডপে যাওয়ার রাস্তা তত চওড়া নয়। ভিড় বাড়লে যাতে বিপত্তি না ঘটে, তাই ওই পথ থেকে মণ্ডপে পৌঁছতে ২টি ড্রপ গেট করা হয়েছে। প্রতি গেটে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। প্রতিটি ড্রপ গেটে কত ভিড় হচ্ছে, সিসি ক্যামেরা দেখে সেই অনুসারে নিয়ন্ত্রণ করছে বিধাননগর পুলিশ।
উৎসবের পাঁচ দিনের আগেই বাগুইআটি অর্জুনপুরে একটি পুজোয় এই ছবি দেখা গেল। খোদ বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার শ্রী মুকেশকে নজরদারিতে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। দক্ষিণদাঁড়ি, শ্রীভূমি, বাগুইআটির পাশাপাশি সল্টলেক, নিউ টাউনে কয়েকটি পুজো ঘিরে জনসমাগম প্রতি বছরই বাড়ছে। কয়েক বছরে ভিড়ের সেই গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এর ফলে ভিআইপি রোড, যশোর রোড, বিশ্ববাংলা সরণি-সহ একাধিক রাস্তায় যানজট, গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে। তার জেরে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস-সহ পূর্ব কলকাতায় যান চলাচলের প্রভাবও পড়ে।
এ বছরে তাই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে পুজোর আগে থেকেই তা কার্যকর করতে শুরু করেছে পুলিশ। তৃতীয়ার রাত থেকে সে কাজে আরও জোর বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন এলাকায় যান চলাচলের ছবিটা স্বাভাবিক বলে দাবি পুলিশের।
শ্রীভূমি, দমদম পার্ক, সাতগাছি, নিউ টাউন, সল্টলেকের এ কে, বি জে ব্লক, এফ ডি, লাবণি আবাসনের মতো জনসমাগম বেশি, এমন জায়গা ঘিরে পুলিশ কর্তাদের অধীনে নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে। বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া হয়েছে।
চতুর্থী রাতে বাগুইআটির কয়েকটি পুজো মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনে আসা প্রতীক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, বিধাননগর পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করায় সুবিধা হচ্ছে। পুলিশের তরফে অ্যাপ এবং গাইড ম্যাপও প্রকাশ করা হয়েছে। এ বার বিধাননগরের মেট্রোকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। আয়োজকদের কথায়, পঞ্চমীর রাত থেকে মানুষের ঢল বাড়বে। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘পরিকল্পনা করে প্রতিটি পুজো কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সেই অনুসারে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)