দু’মাস ধরে জলবন্দি গোটা একটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। জানতই না প্রশাসন।
অভিযোগ পেয়ে এক বার পরিস্থিতি সরেজমিন দেখে এসেছেন স্থানীয় বিধায়ক। সোমবার ফের পুর প্রশাসক-সহ অন্য আধিকারিকদের নিয়ে এলাকায় যান তিনি। পুরনো রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরপর ‘বেআইনি’ নির্মাণের কারণেই নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জ্যাংরা হেলা বটতলার কাছে পূর্বাচল, অরুণাচল কলোনি-সহ বিভিন্ন পাড়া দু’মাস জলের তলায়। তবু ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে বিধাননগর পুর-নিগমের বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বৈঠকে সমস্যাটি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত সরব হন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কার্যত তরজা বেধেছে সদ্য তৃণমূলে আসা প্রাক্তন বাম নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায়ের।
এ দিন গোড়ালি ডোবা জলে হেঁটে ঘোরেন সব্যসাচীবাবু, পুর-নিগমের চেয়ারম্যান পবন কাডিয়ান-সহ আধিকারিকেরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিচু এলাকায় দীর্ঘদিন জল জমে থাকে। পুরসভা কার্যত কোনও কাজই করেনি। স্থানীয় বাসিন্দা রথীন্দ্রলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা বলতে হাতে গোনা কয়েকটি নালাও কয়েক বছর ধরে ‘বেআইনি’ নির্মাণের চাপে বেহাল। আর এক বাসিন্দা ছোটন সিংহ বলেন, ‘‘মাত্র ১ কাঠা জমিতেও কী ভাবে আইনি বহুতল হতে পারে? অথচ এমন বহু নির্মাণ চলছে এলাকায়।’’ যার জেরেই এই অবস্থা বলে দাবি তাঁদের। অভিযোগ সমর্থন করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও।
এই দুর্দশার জন্য নাম না করে প্রাক্তন পুরবোর্ডকেই দায়ী করেছেন সব্যসাচীবাবু। তাঁর অভিযোগ, পুরবোর্ড সক্রিয় হলে এমন হতো না। সেই বোর্ডের চেয়ারম্যান তাপস চট্টোপাধ্যায় এখন শাসক দলে। তিনি বলেন, ‘‘ তখন এমন অভিযোগ পাইনি। নির্মাণগুলি বেআইনি হলে বর্তমান পুর-প্রশাসন ভেঙে দিক।’’ প্রাক্তন কাউন্সিলর কংগ্রেসের মৃণাল সর্দার বলেন, ‘‘জলের সমস্যা থাকলেও বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পাইনি।’’
তবে নিকাশির উন্নয়নে যে দীর্ঘদিন কাজ হয়নি, তা দেখেছেন আধিকারিকেরা। পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, নিকাশি নিয়ে অবিলম্বে পরিকল্পনা জরুরি। তবে আপাতত এলাকা থেকে জল সরানোর কাজ হবে।