পরিচালন সমিতির নির্বাচন না করানোর ‘চাপ’ অধ্যক্ষাকে

কলেজের পরিচালন সমিতি গঠন নিয়ে সেই কলেজের অধ্যক্ষাকেই চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল অধ্যক্ষদের সংগঠন ‘নিখিল বঙ্গ অধ্যক্ষ পরিষদ’-এর শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রানি বিড়লা গার্লস কলেজে।

সম্প্রতি ওই কলেজের প্রশাসককে সরিয়ে সেখানে পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং অন্য সদস্যদের মনোনীত করেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, অধ্যক্ষা শ্রাবন্তী ভট্টাচার্য ১১ জুন পরিচালন সমিতির নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। বৃহস্পতিবার ছিল নির্বাচন। কিন্তু অভিযোগ, অধ্যক্ষ পরিষদের একটি ভাগের সাধারণ সম্পাদক মানস কবি বার বার অধ্যক্ষাকে ভোট না করানোর জন্য বলছিলেন। বুধবার ওই ভাগের সভানেত্রী স্বাগতা দাস মোহান্তা ও অন্যদের নিয়ে গিয়ে তিনি ফের অধ্যক্ষাকে চাপ দেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রাবন্তী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

যদিও স্বাগতা বলেন, ‘‘আমরা একটি অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষাকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম, নির্বাচনের বিষয়টা আপসে মিটিয়ে নিন। উনি থ্যালাসেমিয়ার রোগী। ওঁর আগে থেকেই আজ ডাক্তার দেখানোর কথা ছিল।’’

শ্রাবন্তী অবশ্য বলেন, ‘‘মানসের দাবি ছিল, উচ্চ শিক্ষা দফতর যাঁদের নাম পাঠিয়েছে, তাঁদের নিয়ে আগে বৈঠক হোক। এ দিকে, নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা এবং তার স্ক্রুটিনি হয়ে গিয়েছে। টানা চাপের মুখে অসুস্থ হয়ে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। আগে থেকে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল না।’’

মানসের দাবি, তিনি সদ্য এই কলেজের পরিচালন সমিতিতে এলেও তাঁকে না জানিয়েই অধ্যক্ষা নোটিস দেন। মানস বলেন, ‘‘বুধবার অধ্যক্ষাকে বলি এখন ভোট না করাতে। ওঁর বিরুদ্ধে কয়েক জন শিক্ষিকার অভিযোগও ওঁকে জানাই। এর মধ্যে কী ভাবে চাপ দিয়ে ওঁকে অসুস্থ করলাম, বুঝছি না।’’