Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
SSKM Hospital

এসএসকেএমে এ বার নিরাপত্তারক্ষীকে মেরে কান ফাটানোয় অভিযুক্ত রোগীর পরিবার

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা রোগীর পরিবারের কয়েক জনকে আটক করেছে। এর পর পুলিশের উদ্যোগেই ট্রলি জোগাড় করে রোগী নারায়ণচন্দ্র বাগচীকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ট্রলির জন্য অপেক্ষা করেই অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয়েছে নারায়ণবাবুর। যদিও তা মানতে নারাজ নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের দাবি, মৃত অবস্থাতেই রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল হাসপাতালে।

প্রহৃত এসএসকেএম-এর নিরাপত্তারক্ষী, অভিযুক্ত রোগীর পরিজন। নিজস্ব চিত্র

প্রহৃত এসএসকেএম-এর নিরাপত্তারক্ষী, অভিযুক্ত রোগীর পরিজন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ১৪:৫০
Share: Save:

জুনিয়র চিকিৎসক নন, এ বার হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রোগীর পরিবারের হামলায় কানের পর্দা ফেটেছে ওই নিরাপত্তারক্ষীর। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকালে ঘটেছে এসএসকেএস হাসপাতালে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। হাওড়া থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে থামে এসএসকেএমের জরুরি বিভাগের সামনে। রোগীর সঙ্গে থাকা আত্মীয়রা জরুরি বিভাগে থাকা আকাশি উর্দিতে থাকা ইআরএস-এর নিরাপত্তারক্ষীদের ট্রলি আনতে বলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই নিরাপত্তারক্ষী রোগীর আত্মীয়দের জানান যে ট্রলি পেতে একটু সময় লাগবে। অন্য দিকে ট্রলির জন্য তাড়াহুড়ো করতে থাকেন রোগীর আত্মীয়রা। এর মধ্যেই ট্রলি দিতে দেরি হওয়ায়, রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় নিরাপত্তারক্ষীদের। রোগীর পরিবার অভিযোগ করে, ট্রলি না পাওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্সে থেকে রোগীর পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। অভিযোগ, এই নিয়ে বচসার মাঝেই রোগীর পরিবার মারধর শুরু করে সামনে থাকা নিরাপত্তারক্ষী অমৃত রায়কে। রোগীর পরিবারের মারধরে কান থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে অমৃতের।

আরও পড়ুন: স্টেশন ঘুরে তদন্ত, রেকও দেখল ফরেন্সিক

আরও পড়ুন: মেট্রোর দরজা আটকালে এ বার হতে পারে জেলও

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা রোগীর পরিবারের কয়েক জনকে আটক করেছে। এর পর পুলিশের উদ্যোগেই ট্রলি জোগাড় করে রোগী নারায়ণচন্দ্র বাগচীকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ট্রলির জন্য অপেক্ষা করেই অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয়েছে নারায়ণবাবুর। যদিও তা মানতে নারাজ নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের দাবি, মৃত অবস্থাতেই রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল হাসপাতালে। কারণ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগী অনেক আগেই মারা গিয়েছেন।

ঘটনার পরেই ইআরএস-এর নিরাপত্তা রক্ষীরা হাসপাতাল সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই নিরাপত্তারক্ষীরা সবাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। এক নিরাপত্তারক্ষী অভিযোগ করেন, জরুরি বিভাগে সর্ব সাকুল্যে ১৫টি ট্রলি। তার মধ্যে প্রায় অর্ধেক অকেজো। সেই কারণেই ট্রলি পেতে সমস্যা হয়। রোগীদের পরিবারের লোকেরাও যেখানে সেখানে ট্রলি রেখে দেওয়ায় কাজের সময় তা খুঁজে পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ।

হাসপাতালের সুপারের ঘরের সামনে বিক্ষোভকারীরা জানান, হাসপাতালের পরিকাঠামোগত ত্রুটির ফল ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁরা সুপারের কাছে এর বিহিত চান। হাসপাতাল সুপার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

SSKM Hospital SSKM Hospital Security Guard Beaten UP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE