E-Paper

কবে আবার ফিরতে পারব, প্রশ্ন আগুনে ঘরহারা বাসিন্দাদের

শনিবার দুপুরে বাগজোলা খাল সংলগ্ন ওই বস্তিতে ভয়াল আগুনে পুড়ে যায় প্রায় শতাধিক ঘর। আগুনে ঝলসে, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যায় বহু গবাদি পশু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার মেলাবাগানে পুড়ে যাওয়া বস্তিতে এখন ছড়িয়ে শুধুই ছাই আর ভস্মীভূত সামগ্রীর অবশেষ। রবিবার, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পরে শুরু হয়েছে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার কাজ। পুলিশ জানিয়েছে, ফরেন্সিক দলের রিপোর্ট আসার পরেই আগুন লাগার কারণ জানা যাবে। তবে সব ছাপিয়ে এই মুহূর্তে বস্তির বাসিন্দাদের একটাই প্রশ্ন, কবে এবং কী ভাবে তাঁরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন?

গত শনিবার দুপুরে বাগজোলা খাল সংলগ্ন ওই বস্তিতে ভয়াল আগুনে পুড়ে যায় প্রায় শতাধিক ঘর। আগুনে ঝলসে, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যায় বহু গবাদি পশু। এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে পাঁচশো জনকে আপাতত রাখা হয়েছে দমদম রবীন্দ্র ভবনে। ইতিমধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের একটি দল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক কর্তা জানান, রবীন্দ্র ভবনে বস্তির বাসিন্দাদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাবার, পানীয় জল, ওষুধ এবং পোশাক সরবরাহ করা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এবং দক্ষিণ দমদম পুর প্রশাসন সেই কাজ করছে। দমদম এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারাও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন।

দক্ষিণ দমদম পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি বহাল থাকা অবস্থাতেই যাতে দরপত্র ডেকে বস্তিবাসীদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া যায়, সেই বিষয়টি নিয়ে ব্যারাকপুর মহকুমা ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছেন পুর কর্তৃপক্ষ। জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আদর্শ
আচরণবিধি জারি থাকলেও এমন মাত্রার বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ঘর তৈরি করে দেওয়ার পথে কিছু অন্তরায় হবে না। কী ভাবে বাসিন্দাদের দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

এ দিকে, দমদম লোকসভা কেন্দ্রের এসইউসিআই প্রার্থী বনমালী পণ্ডার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল সোমবার দক্ষিণ দমদম পুরসভায় দাবিসনদ জমা দেয়। পরে পুরসভার সামনে এক সভায় প্রতিনিধিদলের সদস্যেরা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন দেওয়ার দাবি জানান।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

dumdum

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy