নিজস্ব চিত্র। আরজি করের সামনে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে ‘বহিরাগত’দের হামলার অভিযোগ
পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা অব্যাহত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার মহানবমীতেও অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অটল পড়ুয়ারা। এ দিন বেলগাছিয়া সেতুতে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বিক্ষোভের সময় তাঁদের উপর কিছু বহিরাগত আক্রমণ করে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
আরজি করের বাইরে বেলগাছিয়া সেতুর উপর মানববন্ধন করে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানালেন পড়ুয়া ও ইন্টার্নরা। পড়ুয়াদের দাবি, অধ্যক্ষ ‘পলাতক’। তাঁদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা— ‘ছেড়ে দিয়ে কলেজের হাল, পালিয়ে গেল প্রিন্সিপাল’, ‘যতই পাঠাও পুলিশ ঘরে, থামবে না ঝড় আরজি করে’। সেতুর উপর বিক্ষোভ চলার সময় বাইরের কিছু লোকের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতিতে জড়়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তাঁদের বক্তব্য, কিছু বহিরাগত তাঁদের উপর আক্রমণ চালায়। বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের উপর চাপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে যোগ দেওয়ায় হাসপাতালের পরিষেবায় প্রভূত সমস্যা তৈরি হয়েছে। চাপ বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি)-দের উপর। এই নিয়ে এ দিন হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের সঙ্গে দেখা করলেন ৬০ জন পিজিটি। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ছাত্রাবাস সংস্কার-সহ একগুচ্ছ দাবিতে গত দু’মাস ধরে আন্দোলন করছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পড়ুয়া ও ইন্টার্নরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় অনশন শুরু করেন কয়েক জন পড়ুয়া। অভিযোগ, অনশনকারী পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে পুলিশ। শনিবার যখন পড়ুয়ারা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এ ব্যাপারে নালিশ জানাতে যান, তখন অধ্যক্ষ উল্টে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে পড়ুয়া ও ইন্টার্নরা মিলে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে অনির্দিষ্ট কাল অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। কাজ বন্ধ করে তাতে যোগ দিয়েছেন কলেজের ইন্টার্নরাও। অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অবস্থান চলবে বলে জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের আন্দোলনে শামিল হয়েছেন পড়ুয়া-সহ ১৮৮ জন ইন্টার্ন। ইন্টার্নরা কাজে না ফিরলে হাসপাতালের পরিষেবায় তার প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy