ঐতিহাসিক: সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি। নিজস্ব চিত্র।
আগামী বছর দ্বিশতবর্ষ পূর্ণ হচ্ছে সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের। সেই উপলক্ষে এখনকার পড়ুয়ারা যেন টাইম মেশিনে চেপে পৌঁছে যাবে সেই ঠিকানায়, যেখানে স্কুলটি প্রথম চালু হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানালেন, পয়লা জানুয়ারি কলেজ স্ট্রিটের সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল থেকে হেঁটে পড়ুয়ারা যাবে ৬৬ নম্বর বৌবাজার স্ট্রিটে। সেখানেই স্কুলটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। যেখানে বাবার হাত ধরে ভর্তি হতে এসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। দেবব্রত বলেন, “ওই ঠিকানায় এখন আছে দোকান। তবে, ওই দিনের জন্য সেখানে সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের একটা হোর্ডিং লাগানো থাকবে।”
কলেজ স্ট্রিটেরই অন্য দুই প্রাচীন স্কুল হিন্দু ও হেয়ার আগেই ২০০ বছর পার করেছে। এ বার পালা সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের। দেবব্রত বলেন, “সারা বছর ধরে চলবে নানা অনুষ্ঠান। স্কুলের কৃতী পড়ুয়ারা আজকের পড়ুয়াদের স্কুলের গৌরবময় ইতিহাস শোনাবেন।” বিদ্যাসাগরের পাশাপাশি স্কুলের উজ্জ্বল প্রাক্তনীদের মধ্যে আছেন শিবনাথ শাস্ত্রী, মধুসূদন গুপ্ত, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বিষ্ণু দে, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, পঙ্কজ রায়ের মতো ব্যক্তিত্বেরা। দেবব্রত বলেন, “পুরনো নথি ঘেঁটে আমরা জেনেছি, বিদ্যাসাগর স্কুলে পড়ার সময় থেকেই সমাজসচেতন ছিলেন। ছাত্রাবস্থাতেই নানা সামাজিক বিষয়ে বিতর্কে অংশ নিতেন।” ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিদ্যাসাগরকে নানা ভাবে স্মরণ করা হবে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, পয়লা জানুয়ারি সকালে পদযাত্রার পরে ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে ২০০ বছর পূর্তির উদ্যাপন শুরু হবে। থাকবে নানা প্রদর্শনীও। বিদ্যাসাগরের পাশাপাশি অন্য কৃতী প্রাক্তনীদেরও জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy