কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে কে কতটা ডেঙ্গি সচতেনতার কাজ করেছে, পুজো শুরুর আগেই তার বিচার হয়ে যাবে। গত ৩ এবং ৪ অক্টোবর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকেরা ঘুরে ঘুরে সেই সব কাজকর্ম দেখে নম্বর দিয়েছেন। সেই কাজের ভিডিয়োও তুলে রাখা হয়েছে। সোমবার, মহালয়ার দিন পুরভবনে সেই ছবি দেখে শ্রেষ্ঠ পুজো কমিটি বাছার কাজ শুরু হয়। পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তপন মুখোপাধ্যায় জানান, ডেঙ্গি নিয়ে সচতেনতার নিরিখে সব প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে ১০০টি পুজো কমিটি বেছে নেওয়া হবে। মঙ্গলবার তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। আগামী ১৩ অক্টোবর ওই একশোটি পুজো মণ্ডপে বিচারক হিসেবে যাবেন শহরের বিশিষ্ট জনেরা। প্রতিটি জোন থেকে তিনটি করে পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হবে।
এ বছরই প্রথম ডেঙ্গি দমনে শ্রেষ্ঠ পুজো কমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। সেই প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন শহরের ১৬০৫টি পুজো কমিটি। দু’টি করে বরো এলাকা ধরে মোট আটটি জোনে ভাগ করা হয়েছে শহরের ১৬টি বরোর পুজো কমিটিগুলিকে। পুরসভা সূত্রের খবর, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতা, স্বাস্থ্য শিবির, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বর হয়েছে কি না, রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে কি না এ সবই ছিল প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়ার চাবিকাঠি। যে পুজো কমিটি তাতে সফল, তাদেরই বাছা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায় অনেক ছোট-বড় পুজো কমিটি
ডেঙ্গি প্রতিরোধে শামিল হয়েছে। পুজোর ক’দিন কারা মণ্ডপের কাছে ডেঙ্গি প্রতিরোধের প্রচারে স্টল করবে, তাও দেখা হবে। বিচারকেরা নাম চূড়ান্ত করবেন সব কিছু দেখেই।’’ আবার কোনও প্রতিযোগিতা না থাকলেও রাজপুর- সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনগর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি মহালয়ার দিন প্রভাত ফেরির সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রচারপত্র বিলি করেছে। তা প্রশংসিত হয়েছে ওই পুর এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy